ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার পাটিখালঘাটা ইউনিয়নে গেলেই দেখা যাবে অজব এক দৃশ্য। গুরুত্তপুর্ণ একটি সড়কের মাঝখানে দ্বারিয়ে আছে একটি সেমিপাকা একতলা ভবন। তাও আবার পরিত্যাক্ত।ইউনিয়ন পরিষদ ভবন এবং একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে থাকা এই পরিত্যক্ত ভবনটি কাঠালিয়া উপজেলার আমুয়া থেকে তারাবুনিয়া যেতে সড়কের যান চলাচলে প্রতিনিয়ন বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। পরিত্যাক্ত ভবনটি না ভেঙ্গে সড়ক নির্মান করার সংশ্লিষ্ট কর্তুপক্ষ বেশ সমালোচনার মূখে পড়েছে। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সম্প্রতী একটি ট্রাক ভবনের সাথে ধাক্কা লেগে পার্শবর্তী খালে পরে যায়। স্থানীয়দের সাথে আলাপ করে জানাগেছে,প্রায় ৫০ বছর পূর্বে ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের অর্থায়নে এই ভবনটি নির্মান করেছিলো তৎকালীণ সরকার।বর্তমানে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল (এলজিইডি) কর্তৃপক্ষ পরিত্যাক্ত দালানটি মধ্যখানে রেখেই নির্মান করেছে নতুন সড়ক।পাটিখালঘাটার ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোস্তফা কামাল বলেন,পরিত্যাক্ত এই ভবনটি ভেঙেফেলার প্রস্তাব বহুবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দিলেও কোন সুরাহা পাওয়া যায়নি। এর একটা স্থায়ী সমাধান আমাদের সকলের দাবী।মরিচবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.লিয়াকত আলী জমাদ্দার বলেন,এই সড়কে শিক্ষার্থীদের চলাফেরায় অসুবিধা হয়, ভবনটির আাড়ালে সড়কের একপাশ থেকে অন্যপাশ দেখা যায় না। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।স্থানীয় ব্যবসায়ী মোজ্জামেল হক বলেন,পুরাতন এই ভবনটির কারনে মরিচবুনিয়া বাজারে পন্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে পারেনা।এতে বাজার ব্যবসায়ীরা আর্থিক ভাবেও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।এবিষয় পাটিখালঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিশির দাস বলেন,বারবার এ বিষয়ে উদ্যোগ নিলেও নানা জটিলতায় এর সমাধান হয়নি। আমি সংল্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত ভাবেও জানিয়েছি। জনস্বার্থে দ্রুত এর সমাধান হওয়া প্রয়োজন।