পিরোজপুরের কাউখালীর বাজার থেকে কাঁচা মরিচ উধাও হয়ে গেছে।শনিবার দুই একটি দোকানে কাঁচা মরিচ পাওয়া গেলেও রবিবার কাউখালীর উত্তর ও দক্ষিণ বাজার সহ গ্রামের কোন বাজারে কাঁচা মরিচ পাওয়া যায়নি।শনিবার কাউখালীর বাজারে প্রতি কেজি মরিচ ৯০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা জানান,চাহিদার তুলনায় মরিচের উৎপাদন কম হওয়ায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।বাংলাদেশে এবার প্রথম কাঁচা মরিচের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।পাইকারী বাজারে সবাই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বেশি দামে সব কিছুই বিক্রয় করছে।প্রশাসন একটু তৎপর হলে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা কোন কিছুই বেশি দামে বিক্রি করতে পারবে না।ক্রেতা নজরুল ইসলাম বলেন,রবিবার সকালে কাঁচা মরিচ কিনতে এসে তো আকাশ থেকে পড়ার অবস্থা।বাজারে কোন কাঁচা মরিচ নেই।শুনিছি শনিবার ৯০০ টাকা দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে। আজ বাজারে এসে দেখি কোন মরিচই নেই।কাঁচা মরিচের এতো দাম এ জীবনে দেখিনি। এক কেজি কাঁচা মরিচে এখন এক কেজি খাসির মাংস পাওয়া যাচ্ছে।মরিচ ব্যবসায়ী রসুল জানান,তিনি প্রতিদিন ২ থেকে ১ মন কাঁচা মরিচ বিক্রি করেন।সেখানে শনিবার ৮৫০ টাকা দরে ২ কেজি মরিচ কিনেছি।সেগুলোর দাম হাঁকিয়ে বেশি দামে (এক হাজার) টাকা বিক্রি করার চেষ্টা করছিলেন। পরে ৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন তিনি।মরিচের দাম বেশী হওয়ায় বিক্রিও কমে গেছে।তাই রবিবার কোন মরিচ আনেননি।কাউখালী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা পবিত্র কুমার হালদার বলেন,বাজারে হঠাৎ করে কাঁচা মরিচ বেশি দামে বিক্রয় হচ্ছে যার প্রধান কারণ,বৃষ্টির কারণে কৃষকরা মরিচ উঠাতে পারেনি।আবার ঈদে মরিচের চাহিদা বেড়েছে যার কারণে কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।এছাড়া পাইকারী বাজারে সবাই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বেশি দামে সব কিছুই বিক্রয় করছে।তবে দুই/তিন দিনের মধ্যে মরিচের দাম কমে যাবে।