পিরোজপুরে জুয়া খেলার প্রতিবাদ করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলায় ৯ ছাত্র ও যুবলীগ কর্মী আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) রাতে জেলার সদর উপজেলার শিকদার মাল্লিক ইউনিয়নের শিকদার মল্লিক রাস্তার মাথা সংলগ্ন এলাকায়। হামলায় গুরুতর আহত ৪ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হামলায় স্থানীয় জিয়াউল হক ফকিরের ছেলে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি সালেহ আহম্মেদ চঞ্চল (৩৫), বাদশা ফকিরের ছেলে ওই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক শামিম ফকির (৩০), স্থানীয় সুশিল চক্রবর্তীর ছেলে ওই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি অনল চক্রবর্তী (২২), একই এলাকার মিজানুর রহমান শেখের ছেলে ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক হাসান শেখ (২২) গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ছাড়া ছাত্র ও যুবলীগের তন্ময় মন্ডল (২২), সিপার ফকির(২০), রনি হাওলাদার(২০), মাসুদ শিকদার (২৮), রিপন শেখ (২০) আহত হয়েছেন। ওই ৫ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। হামালায় আহত জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি চঞ্চল ফকির জানান, ওই ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন কমিটির আহবায়ক মো. সোহেল হাওলাদার ও সদস্য সচীব মো. জালাল হোসেন শেখ স্থানীয় শিকদার মল্লিক রাস্তার মাথায় একটি ঘরে নিয়মিত জুয়ার আসর বসান। এতে স্থানীয় পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে এর প্রতিবাদ করি। এর জের ধরে আমরা শিকদার মল্লিকের রাস্তার মাথায় অবস্থান কালে ওই দুই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার নেতৃত্বে ২০-২৫ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। এতে ছাত্র ও যুবলীগের ৯ নেতা-কর্মী আহত হন। এ বিষয় ওই ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক সোহেল হাওলদারের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তারা ওই হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ওই রাতে আমরা শিকদার মল্লিক বাজারে সংগঠনের কাজ শেষে ফেরার পথে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে চঞ্চল ফরিকরা হামলা করে। এতে আমাদের ৩ কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা পিরোজপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পিরোজপুর সদর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) আবির মোহাম্মাদ হোসেন জানান, হামলার খবর পেয়ে ওই রাতে সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। এ ঘটনায় কোন অভিযোগ পাওয়া যায় নি।