বরগুনার তালতলীতে ঘরে আটকে রেখে ফারজানা আক্তার নামের এক গৃহবধূকে নির্যাতন করেছেন তার স্বামী মো. মেহেদী হাসান আরিফ। ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দিয়ে পুলিশি সহায়তা চেয়েছেন। পরে পুলিশ তালা ভেঙে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী আরিফকে আটক করে থানা হেফাজতে রাখে পুলিশ। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের মালিপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। আরিফ ছোট ভাইজোড়া সালেহিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর। জানা যায়, প্রায় ৬ বছর আগে মালীপাড়া এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মো. আশরাফ আলীর ছেলে আরিফের সাথে পার্শ্ববর্তী উপজেলা মহিপুর থানার নিজামপুর গ্রামের জলিল ফরাজীর মেয়ে ফারজানা আক্তারের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক কলহ লেগে আছে। এরই জের ধরে প্রায় সময়ই ঘটতো নানা ধরনের ঘটনা। নির্যাতিত গৃহবধূ ফারজানা বলেন, কোন কারণ ছাড়াই তার স্বামী আরিফ শারীরিক ও মানুষিকভাবে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করেন। মালিপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন তারা। মঙ্গলবার মধ্যরাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলোপাথারি মারধর করে মাথা, হাত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম করে। পরে ঘরে আটকে রেখে বাহির থেকে তালা দিয়ে রাখেন অভিযুক্ত স্বামী। পরে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল দিলে পুলিশ এসে তালা ভেঙে আমাকে উদ্ধার করে। থানায় আসার পরে আমার শ্বশুর, ননদ ও স্থানীয় মেম্বরকে নিয়ে এসে আমাকে ২লাখ টাকা দিয়ে তালাক দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। তবে আমি আমার স্বামীর বিচার চাই। এ বিষয়ে তালতলী থানার ওসি শহীদুল ইসলাম মিলন বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। ওই গৃহবধুকে ঘরে আটকে রেখে নির্যাতন করে বাহির থেকে তালা দিয়ে রাখে তার স্বামী। ওই গৃহবধূ ৯৯৯ এ কল দিয়ে সহযোগিতা চেয়েছ। পরে তাকে তালা ভেঙে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় স্বামী আরিফকে আটক করা হয়েছে।