বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর নয়াপল্টনে, পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের হামলায় মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক উপদেষ্টা, আরাফাত রহমান কোকো ক্রিড়া সংসদের সিনিয়র সাধারণ সম্পাদক এবং মুন্সিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি, হরগঙ্গা কলেজের সাবেক ভিপি রফিকুল ইসলাম মাসুম গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তার বাম চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছেন না। মাথায় গুলিবিদ্ধসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হয়েছে।শুধু তাই নয় মাসুম এর মতো হাজারো নেতা কর্মী ওই হামলায় আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।স্থানীয় বিএনপির কর্মীরা জানান, জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসমাবেশে যোগ দিতে মুন্সিগঞ্জ জেলা ও গজারিয়া উপজেলার কয়েকশো নেতা কর্মীদের নিয়ে সমাবেশে যান বিএনপির ওই সিনিয়র নেতা রফিকুল ইসলাম মাসুম।এসময় পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের হামলায় গুরুতর আহত হন তিনি। পরে সেখানে থেকে তাকে গুরুত্ব অবস্থায় উদ্ধার করে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং চোখের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।গজারিয়া উপজেলা যুবদলের সদস্য এবং হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য নজরুল ইসলাম বাদশা বলেন, মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর নয়াপল্টনে, পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের হামলায় আমার বড় ভাই রফিকুল ইসলাম মাসুম গুরুতরত হওয়ার খবর শুনতে পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যাই এবং ভাইকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।তিনি আরো বলেন, আমার ভাই বাম চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছে না চিকিৎসক বাম চোখের অবস্থা ভালো বলেনি বলে জানিয়েছে।মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমিটির ১ম যুগ্ন সাধারন সম্পাদক সরদার সাহাজালাল বলেন, বিএনপির একজন কর্মী হিসেবে নিজের জীবনের একটি অঙ্গহানি হয়ে পরীক্ষিত সৈনিকের খাতায় নাম লেখালেন ভিপি রফিকুল ইসলাম মাসুম, তার বাম চোখটি নষ্ট হয়ে গেল পুলিশের গুলির আঘাতে এবং মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে শত শত স্প্লেন্ডারে ক্ষত-বিক্ষত শরীর।হাসপাতালে কান্না জড়িত কন্ঠে আহত ভিপি রফিকুল ইসলাম এর সহধর্মিনী বললেন, আমার স্বামী যদি এক বছর কিংবা দুই বছরও জেলে থাকতো আমার এত আফসোস ছিল না কিন্তু তার একটি চোখ নষ্ট হয়ে গেল আমি তা মেনে নিতে পারছি না। উনি প্রতিদিন কোরআন শরীফ পড়েন উনার চোখে চশমা লাগে না, সে মানুষটির কিনা একটি চোখ হারিয়ে গেল!আমি আমার ছেলেকে কি জবাব দেব?উল্লেখ্য গত ২৮ শে অক্টোবর শনিবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সমাবেশে পুলিশের টিয়ারশেল ও গুলির ঘটনায় মঞ্চে থাকা সিনিয়র নেতারাও মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত ও আহত হন। এ সময় অসংখ্য নেতা–কর্মীও আহত হয়েছে। পুলিশের গুলিতে মুগদা থানা যুবদল নেতা শামীম মোল্লা নিহত হয়েছেন।বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষো সহকারী শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জিলানি, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ সহস্রাধিক নেতা–কর্মী গুলিবিদ্ধ ও গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অসংখ্য গণমাধ্যমকর্মী।