মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার নয়াগাঁও গ্রামের পশ্চিম পাড়া এলাকায় স্বামীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্ত্রী সায়লা বেগম ও শ্বশুর মনির হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।নিহত ব্যক্তির নাম সুজন দেওয়ান।তিনি রঙ মিস্ত্রির পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।নিহতের বোন আকলিমা বেগম জানান,পরকীয়া প্রেম নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত সুজনের সাথে তার স্ত্রীর ঝগড়া চলছিল। এ ঘটনায় একাধিকবার পারিবারিকভাবে মীমাংসা করা হয়েছিল।কিন্তু প্রতিদিন এ বিষয়ে সন্তানদের সামনেই ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়তেন সুজন-সায়লা দম্পতি।জানা যায়,শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকালে পশ্চিম পাড়া এলাকা থেকে সুজনের বোন আকলিমার কাছে ফোন আসে তার ভাই সুজন অসুস্থ।আকলিমা ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পায় সুজন মারা গেছে।সুজনের ভাড়া বাড়ি থেকে মরদেহ বোন আকলিমার বাড়িতে নেওয়ার অনুরোধ করেন সুজনের স্ত্রী ও শ্বশুর।এরপর সুজনের মরদেহ নিয়ে তার বোন শহরের ইদ্রাকপুরে চলে আসেন।পরে দাফনের জন্য প্রস্তুতি নিলে সুজনের গলায় এবং পিঠে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখতে পায়।বিষয়টি স্থানীয়দের সন্দেহ হলে পুলিশে খবর দেয় স্বজনরা।এ ঘটনায় নিহত সুজনের স্ত্রী সায়লা ও শ্বশুর মনির হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।তবে তারা হত্যার ঘটনা অস্বীকার করেছেন।সারা রাত মদ পান করে সুজন নিজে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি তাদের।এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খাইরুল ইসলাম জানান,মরদেহের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।