নিজস্ব প্রতিবেদক :
সদ্যই শেষ হলো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।এরইমধ্যে মার্চের শেষ দিকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানাযায়। তাই সংসদ নির্বাচনের রেশ না কাটতেই পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সম্ভব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে।এরই মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার নির্বাচনগুলোয় দলীয়ভাবে মনোনয়ন দেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।অর্থাৎ কাউকে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে না।যাঁর যাঁর মতো করে স্বতন্ত্রভাবে দলের নেতারা নির্বাচন করতে পারবেন। যেকোনো প্রার্থীর পক্ষে দলের নেতারা ভোট করতে পারবেন।ফলে দলীয় প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য জোর প্রস্ততি নিচ্ছেন।ইতিমধ্যে উপজেলার সম্ভব্য প্রার্থীদের সমর্থক কর্মীরা তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পছন্দের নেতাকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই বলে প্রচারনা চালাচ্ছেন।কেউ কেউ ব্যানার ফেস্টুন ও টানাচ্ছেন।আসন্ন কাউখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষে সম্ভব্য অধিকাংশ প্রার্থী নবনির্বাচিত স্বতন্ত্র এমপি মহিউদ্দীন মহারাজের দোয়া নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য তোরজোর শুরু করেছেন।অবশ্য উপজেলা পরিষদের সম্ভব্য প্রার্থীদের মধ্যে ২/১ জন বাদে সকলেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নবনির্বাচিত এমপির পক্ষে কাজ করছেন।পঞ্চম কাউখালী উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে কাজী রুহিয়া বেগম হাসি দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেন।তখন জেপি (মঞ্জুর) বাইসাইকেলের প্রার্থী আবু সাইদ মিঞা মনু উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।কাজী রুহিয়া বেগম হাসি এবার সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য পদে মনোনয়ন চাইবেন বলে জানান।তবে বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবু সাইদ মিঞা মনু এরইমধ্যে তিনি জাতীয় পার্টির মঞ্জুর দলের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বতন্ত্র এমপি মোঃ মহিউদ্দীন মহারাজের সাথে যোগদিয়ে তার পক্ষে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।তিনি জেপির দল থেকে পদত্যাগ করলেও এখন পর্যন্ত কোন দলে যোগদান করেননি।এবার নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।এছাড়াও ষষ্ঠ কাউখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ নিতে পারেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম আব্দুস শহীদ।তিনি ৩য় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বর্তমান উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এস এম আহসান কবিরের কাছে পরাজিত হন।উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান তালুকদার পল্টন ইতিমধ্যে সম্ভব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে প্রচার প্রচারনা শুরু করেছেন।তিনি প্রতিদিনই উপজেলার বিভিন্ন স্হানে জনসংযোগ করছেন।আর এক সম্ভব্য প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সদর কাউখালী ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রশিদ মিল্টন চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে তার কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে এলাকায় প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছেন।এছাড়াও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য মামুন হোসাইন বাবলু জমাদ্দার, ১নং সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাইদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্র লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক নেতা বিশ্বজিৎ পালও চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে এলাকায় জনসংযোগ করছেন।কাউখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মোঃ ফরিদুল ইসলাম খান পারভেজের সমর্থকরা তার পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারনা চালাচ্ছেন।এদিকে বিএনপির কোন প্রার্থী এখন পর্যন্ত মাঠে নেই।বিএনপি নেতারা বলছেন, এখনও কেন্দ্র থেকে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কোনো নির্দেশনা আসেনি।নির্দেশনা এলে বলা যাবে বিএনপি বা ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা।তবে আওয়ামীলীগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নৌকা কাউকে না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ায় উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও দুই বারের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আহসান কবির স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন বলে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন।তিনি নির্বাচনের লক্ষে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানাযায়।তার উপজেলায় রয়েছে একটি শক্ত অবস্থান।এছাড়াও উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আরও কয়েক নতুন মুখ রয়েছে।