পটুয়াখালী প্রতিনিধি :
পটুয়াখালীর গলাচিপায় কলেজ ছাত্র এইচএসসি পরীক্ষার্থী জিসান হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত ‘বাইক বাপ্পি’ গ্রুপের গ্যাং সম্রাট বাপ্পি চৌকিদার (১৮) এবং তার অন্যতম সহযোগী মাহিন শিয়ালী (১৮) র্যাবের হাতে গ্রেফতার।শ্বাসরুদ্ধকর ৬৫ ঘন্টার অভিযান চালিয়ে শুক্রবার (২২ মার্চ) ভোলার দক্ষিণ আইচা থানার করিমপাড়ার একটি বিচ্ছিন্ন চর এলাকা হতে পলাতক প্রধান অভিযুক্ত বাপ্পিকে গ্রেফতার করে র্যাব-৮। শনিবার (২৩ মার্চ) ভিন্ন একটি অভিযানে র্যাব-১৫ এর সহযোগিতায় হত্যাকান্ডে অভিযুক্ত দ্বিতীয় আসামি মাহিন’কে বান্দরবান পৌর শহরের ৭নং ওয়ার্ড আর্মি পাড়া হতে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার ২৪ মার্চ দুপুর সারে ১২ টায় পটুয়াখালী র্যাব ক্যাম্পে র্যাবের বরিশাল বিভাগীয় অধিনায়ক যোবায়ের আলম শোভন এক প্রেস ব্রিফিং এসব তথ্য জানান। প্রেস ব্রিফিং এর সময় কোম্পানি অধিনায়ক মেজর সোহেল রানা সহ র্যাব সদস্যবৃন্দ ও বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।প্রেস ব্রিফিং এ জানানো হয়, পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার দক্ষিন চর বিশ্বাস গ্রামের বাসিন্দা মশিউর রহমান হাং (ডাক) এর ছোট ছেলে হাজী কেরামত-আলী ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী জিসান ডাক (১৭) কে গত ০৮ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ভিকটিম জিসান তার বন্ধু শামীকে নিয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল।এ সময় বাপ্পি রাস্তায় ধুলা উড়িয়ে দ্রুত মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলো।ভিকটিম জিসান তাকে ধূলা না ওড়ানোর জন্য অনুরোধ করলে তার সাথে বাপ্পির কথা কাটাকাটি হয়।এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কিশোর গ্যাং এর মূল হোতা বাপ্পি তার গ্যাং এর অন্য সহযোগিদের বটতলা বাজারে জড়ো হতে বলে। পরে সেদিন এ ঘটনার জের ধরে বাপ্পি ও তার গ্যাং এর অন্য সদস্যরা জিসান বাজারে পৌঁছানো মাত্র তাকে বেধড়ক মারধর করে গুরুতর আহত করে।এ ঘটনায় গলাচিপা ,বরিশাল ও ঢাকা মেডিকেলে ১১ দিন চিকিৎসার পর গত ১৯ মার্চ জিসানকে বাড়িতে নিয়ে আসে পরিবার।বাড়িতে আসলে পুনরায় জিসান অসুস্থ হয়ে পড়লে গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। পরে জিসানের পিতা বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গালাচিপা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।প্রেস ব্রিফিং এ র্যাব আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিরা ঘটনার সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে। মামলা হওয়ায় গ্রেফতার থেকে বাঁচতে তারা আত্বগোপন করেছিল।বাইক বাপ্পি গ্যাং এর অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।