কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি :
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার আইরন জয়কুল মোদাচ্ছের মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নান্না মিঞা ও একই এলাকার এম মতিউর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম, দুর্নীতি এবং স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে তাদের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন পালন করছেন অভিভাবক, বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীসহ সচেতন নাগরিক সমাজ।রবিবার (২৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী ও এলাকার গন্যমান্যদের ব্যানারে স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এসময় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দুইটিতে থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যগন উপস্থিত ছিলেন।
এসময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুটির ছাত্র-ছাত্রীরা অভিযুক্তদের পদত্যাগের এক দফা এক দাবিসহ নানান স্লোগানে করে বিক্ষোভ করে। শিক্ষা প্রতিষৃঠান দুটির প্রাক্তন শিক্ষার্থী, অভিভাবক, এলাকাবাসী ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, আইরন জয়কুল মোদাচ্ছের মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নান্না মিঞা ও এম মতিউর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম, দুর্নীতি, টেন্ডার নোটিশ ছাড়া স্কুলের পরিত্যক্ত ভবন বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ, স্বেচ্ছাচারিতা, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায়, বিনা রশিদে অর্থ আদায়, উপবৃত্তির শিক্ষার্থী নির্বাচনে অনিয়মসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতি করেন। এ কারণে শিক্ষার মান ও বিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তাই বিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে অবিলম্বে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকদের অপসারণের দাবি করেন।তারা এ বিষয়ে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ বিষয়ে আন্দোলনকারীরা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে একটি স্মারকলিপি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
মানববন্ধনে আইরন জয়কুল মোদাচ্ছের স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী আনিশা রহমান অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নান্না মিঞার কারনে আমারা উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত, তার স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের কারণে স্কুলের শিক্ষার মান ও সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। প্রধান শিক্ষকের সীমাহীন অনিয়ম, দুর্নীতি বন্ধের দাবিতে আমরা তার অপসারণ দাবি করেছি।
এম মতিউর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালনা কমিটির সাবেক সদস্য মোঃ আনিচুর রহমান পলাশ বলেন, অধ্যক্ষ মোঃ জসিম উদ্দিন সীমাহিন স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ন করে চলেছেন। তিনি আরও বলেন, অধ্যক্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির পরিত্যক্ত ভবনটি নিলামে বিক্রি না করে সুকৌশলে তা বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেন।এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠান দুটির প্রধান মোঃ নান্না মিঞা ও মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়টি সত্য নয়, ব্যক্তি আক্রোশে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।আন্দোলনকারিদের একটি মহল ইন্ধন দিচ্ছে।