কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি :
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে সূধী সমাজের সাথে শিক্ষকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে সরকারি কাউখালী মহাবিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে সুধী সমাজের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় স্হানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতৃবৃন্দসহ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কলেজ এর প্রধানগন উপস্থিত ছিলেন।কাঠালিয়া পিজিএস বহুমুখী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ নাসির উদ্দিন মাহমুদ এর সভাপতিত্বে ও কাউখালী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত রায়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন
কাউখালী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আহসান কবির ,উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব এইচ এম দ্বীন মোহাম্মদ
উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মোঃ নজরুল ইসলাম, সেক্রেটারি মোঃ হুমায়ুন কবীর, আইনজীবী ও মানবাধিকার সংগঠক এডভোকেট আনোয়ার হোসেন তালুকদার স্বপন, কাউখালী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অলোক কর্মকার, সরকারি কাউখালী মহাবিদ্যালয় এর সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও সহকারী অধ্যাপক শেখ মোঃ নজরুল ইসলাম, দারুস সুন্নাত জামেয়া ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ মিজানুর রহমান, সত্যেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এস এম গিয়াস উদ্দিন, কেউন্দিয়া শহীদ স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ শামসুর রহমান মিজান, উত্তর হোগলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আল মামুন খান, সাহাপুরা নাঙ্গুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুন্নাহার বেগম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমাজের প্রতিনিধি সিয়াম তালুকদার, মমিন ইউ আহামেদ ও হাফিজুর রহমান প্রমূখ।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন শিক্ষার্থীদেরকে সত্যিকারের মানুষ হিসেবে তৈরির জন্য মা–বাবাকে শিক্ষকগণের সাথে সকল বিষয়ে যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে। শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফল অর্জন ও যোগ্য নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্র ও বিশ্বকে উপহার দেয়ার জন্যে শিক্ষকরা সব সময় চেষ্টা করেন।বিদ্যালয়ের সঙ্গে শিক্ষার্থীরই শুধু নয়, যোগাযোগ থাকতে হয় অভিভাবকদেরও। অভিভাবকরাও নানা পরামর্শ দিতে পারেন শিক্ষার মানোন্নয়নে। কিংবা বিদ্যালয়ের নানা অসংগতি অনেক সময় অভিভাবকদের চোখেই হয়তো ধরা পড়ে। সে জন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে অভিভাবকদেরও সম্পর্ক থাকতে হয়।
এসময় বক্তারা আরও বলেন সারাদেশে শিক্ষক সমাজের উপর ( বিশেষ করে বেসরকারি শিক্ষকদের উপর) নির্যাতন-নিপীড়ন, জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করা ইত্যাদি নানারকম কার্যকলাপকে বেআইনি আখ্যা দেন। একটি মহল অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের মাঠে নামিয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে বাধ্য করে শিক্ষার্থীদেরকে বেপরোয়া ও বিপথগামী হওয়ার পথে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য থেকে দূরে সরে এসে বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষে পাঠদানে অধিক মনোযোগী হওয়ার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন বক্তারা। বিদ্যালয়ে কোন অবস্থায় নীতিমালা বহির্ভূত হবে কোচিং বাণিজ্য না করার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। পাশাপাশি শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রচলিত শিক্ষা কারিকুলামকে দায়ী করা হয়। শিক্ষক নির্যাতন বন্ধে শিক্ষক ঐক্যের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে দলের দলিল পরিহার করে শিক্ষার মান উন্নয়নে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।