অনলাইন ডেস্ক :
বাগেরহাটে বিএনপি নেতাক সজীব তরফদার (৪০) খুনের ঘটনার মামলায় পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নের হোগলা বেতকা গ্রাম থেকে শনিবার আবু বক্কর সিকদার (৫৭) নামের একজনকে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।শনিবার দুপুরে বাগেরহাট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পুলিশ সুপার তৌহিদুল আরিফ প্রেস ব্রিফিং করে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। গ্রেপ্তারকৃত আবু বক্কার শিকদারকে শুক্রবার রাতে পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলার হোগলা বেতকা গ্রামে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।গ্রেপ্তার হওয়া আবু বক্করকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছেন মামলা তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার ওসি সাইদুর রহমান।পুলিশ সুপার তৌহিদুল আরিফ বলেন, ‘বিএনপি নেতা সজীব তরফদারের হত্যাকান্ডে সরাসরি চারজন জড়িত ছিল। এই চারজনের মধ্যে আবু বক্কার শিকদার নামে একজনকে ইতিমধ্যে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ি খুনের স্থানের পাশে যমুনা সাহার একটি ডোবা থেকে কিলিং মিশনে ব্যবহ্নত দুটি দেশি তৈরি বন্দুক ও একটি তাজা গুলি এবং একটি রামদা উদ্ধার করি। তদন্ত চলমান রয়েছে।এই হত্যাকান্ডের পেছনের যে মাস্টারমাইন্ড রয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।এই ঘটনায় হত্যা ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। এই হত্যাকান্ডের পাঁচটি সম্ভাব্য কারণকে মাথায় রেখে পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্ত শেষ হওয়ার পরেই কি কারনে বিএনপি নেতা সজীব তরফদার খুন হয়েছেন তা বলা হবে। যারা এই খুনের সাথে জড়িত তারা টাকার বিনিময়ে খুন করেছেন তাদের ব্যক্তিগত কোন স্বার্থ এখানে নেই। তারা এই খুনটি করেছে ভাড়াটিয়া হিসেবে বলে দাবি করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।প্রসঙ্গত গত ৫ নভেম্বর বাগেরহাট সদর উপজেলার কাড়াপাড়া ইউনিয়নের মির্জাপুর মধ্যপাড়া জামে মসজিদের সামনে ডেমা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সজিব তরফদারকে প্রকাশ্য দিবালোকে সন্ত্রাসীরা গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে। তিনি ডেমা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ছিলেন।নেতা সজীব তরফদার খুনের ঘটনার ৫ দিন তার স্ত্রী নাঈমা ফারহানা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এ মামলায় ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৭/৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলিসহ আব বক্কর সিকদার নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।