পিরোজপুর প্রতিনিধি:
পিরোজপুরে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে দখল হয়ে যাওয়া ঐতিহাসিক ভাড়ানি খাল পুনরায় খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।শুক্রবার (২রা মে) সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সহায়তায় শুরু হয় খাল খনন ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম।জানা গেছে, পিরোজপুর পৌর শহরের বুক চিড়ে বয়ে চলা ২ কিলোমিটার দীর্ঘ ও গড়ে প্রায় ২০ থেকে ২২ ফুট প্রস্থের এ খালের দুই পাশ জুড়ে দীর্ঘদিন ধরে গড়ে উঠেছিল বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা। ফলে খালের স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল এবং এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছিল। বর্তমান উদ্যোগের ফলে এসব স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং খালটি তার পূর্বের রূপ ফিরে পাচ্ছে। উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে খালের দুই পাশের বেশ কয়েকটি অবৈধ স্থাপনা ও গাছ ভেঙে ফেলা হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কিছু পাকা স্থাপনাও রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগেই নোটিশ দেওয়া হয়েছিল বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।স্থানীয় বাসিন্দা তারেক রানা চৌধুরী বলেন, ঐতিহ্যবাহী এ ভাড়ানি খালটিকে সংস্কার ও পুনরখন করার ব্যাপারে পিরোজপুরে জেলা প্রশাসক যে উদ্যোগ নিয়েছে এবং পিরোজপুরের সাধারণ নাগরিকদের এই কাজে সম্পৃক্ত করেছে সেটি সাধুবাদ জানানোর দাবি রাখে। এটি কোন প্রকল্প নাই খুব স্বল্প পরিসরে কাজটি শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে পিরোজপুরের খাল গুলোকে খনন করার জন্য একটি পরিকল্পনা নেওয়া উচিত।পরিবেশবাদীরা বলছেন, এই খাল শুধুমাত্র পানি প্রবাহের জন্য নয়, বরং শহরের পরিবেশ সুরক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে। তারা খালের পাড় দখলমুক্ত রেখে সবুজায়নের দাবি জানান।এবিষয়ে পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান বলেন, পিরোজপুর পৌরবাসী প্রাণের দাবি ছিল এই খালতি খনন করা এবং খালটি দখলমুক্ত করা। এই খালের যে দূষণ এবং দখল ছিল তার জন্য পানি প্রবাহ পুরোপুরি বন্ধ ছিল। স্থানীয়রা আমাকে বলেছে একসময় এখানে এই খালের বেশ প্রভাব ছিল। আমরা খালটি খননের কার্যক্রম শুরু করেছি। ২ কিলোমিটার দীর্ঘ এ খালটি আমরা খনন করছি। আশা করি খালের দুপাশের এলাকাবাসীরাও এ কাজে আমাদের সহায়তা করবে।