মোঃকামরুল ইসলাম খান ফুলপুর প্রতিনিধিঃ
ফুলপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার সাদিয়া ইসলাম সীমা দিন নয় রাত নয়, দেশ ও জনগণের কল্যাণে যেকোনো বিষয়ে খবর শুনলেই অফিসের ফাঁকে ছুটে চলছেন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায়। সরকারি দায়িত্বের পাশাপাশি হতদরিদ্র ও অসহায় পরিবারকে সহযোগিতা করে মানবিকতার পরিচয় দিয়ে সবার কাছে উদার মনের মানুষে হিসেবে পরিণত হয়েছেন সাদিয়া ইসলাম সীমা। জনস্বার্থ কোন ঘটনা জানতে পারলে বিলম্ব না করে সরজমিন জনগণের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। দৃঢ়তার সাথে মোকাবেলা করেন। মাদক,জুয়া মুক্ত ফুলপুর গড়ার লক্ষ্যেও কাজ করছেন তিনি। এ সব সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে ফুলপুর উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে ফুলপুর ছাড়াও আশপাশের বিভিন্ন উপজেলায় ।নারী কর্মকর্তা হয়েও দিনরাত ছুটে চলছেন উপজেলার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। নিরলস প্রচেষ্টায় চালিয়ে সরকারের সব সেবা নাগরিকদের কাছে পৌঁছে দেন। সার্বক্ষণিক মনিটরিং করেন প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ কাজে। কর্মকর্তাদের দিক নির্দেশনা দিয়ে সেবা নিশ্চিত করেন সদালাপী ও কর্মঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার। জানা গেছে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, ঢাকা থেকে অবমুক্ত হয়ে বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডার (ব্যাচ-৩৫) কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম সীমা (১৮০৪৭) উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে পদায়নের লক্ষে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে যোগদান করেন। সেখান থেকে বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়া স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে ২০শে অক্টোবর-২০২৪ তারিখ ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে বদলী/পদায়ন করা হয়।আর যোগদানের পর থেকেই উন্নয়নের পাশাপাশি পাল্টে যাচ্ছে অনেক দৃশ্যপট। ফুলপুর উপজেলাকে একটি সুন্দর, পরিচ্ছন্ন ও বাসযোগ্য রূপে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি সকল মহলের সম্মিলিত উদ্যোগে চলমান কার্যক্রম ইতোমধ্যেই ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া ইসলাম সীমা। তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে আলাপচারিতার মাধ্যমে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, জনগণের সেবক হিসেবে উক্ত চেয়ারে বসেছি। জনগণের সুখ-দুঃখ দেখাটাই আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। ফুলপুরবাসীর প্রতিটা সমস্যা মানেই আমার সমস্যা। কারণ ফুলপুরের প্রতিটা মানুষই আমার বাবা-মা, আমার ভাই বোন, আমার সন্তান এবং কি আমার আপনজন। দেশ ও জনগণের কল্যাণে সকল বিষয়ের খোঁজখবর রাখার জন্য সরকার আমায় দায়িত্ব দিয়েছেন। এছাড়াও এই কর্মযজ্ঞে সরকারি দপ্তর, বেসরকারি সংগঠন ও সর্বস্তরের মানুষের নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন এবং ভালোবাসা পেয়েছি। আমার কাছে সরাসরি মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেকোনো সমস্যা ধরে তুলা তথ্য যদি আমার নজরে আসে আমি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করি। এছাড়াও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তা সমাধানের চেষ্টা করি ও সঠিক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করি। আবার কেউ কেউ গণমাধ্যমে যেকোনো বিষয়ে পোস্ট করেন জেনে না জেনে। যা অনেক পোস্ট মিথ্যা হিসেবে গণ্য হয়। এত তথ্য সংরক্ষণ করতে এক প্রকার হয়রানির শিকার হতে হয়। যার ফলে বিভ্রান্তি মূলক সৃষ্টি হয় জনগণের মাঝে। আমি বিশ্বাস করি মতানৈক্য, আলোচনা ও সমালোচনা একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ এবং এগুলো কাজকে আরো শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করাতে সাহায্য করে। ইউএনও সাদিয়া ইসলাম সীমা সকলকে অনুরোধ করে বলেন, যে কোন ছোটখাটো বিষয় নিয়ে বিভ্রান্ত না হয়ে সবাই যেন ঐক্যবদ্ধভাবে ফুলপুরের উন্নয়নে কাজ করি। আমরা কেউ কারও প্রতিপক্ষ নই, বরং আমরা সবাই একে অপরের সহযোগী। তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ভালোর জন্য, বৃহৎ স্বার্থের প্রয়োজন হলে ব্যক্তিগত ক্ষুদ্র স্বার্থ বিসর্জন দিতে আমি এবং আমরা সবাই প্রস্তুত। ফুলপুরবাসীর প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা ও শ্রদ্ধা রয়েছে।পরিশেষে তিনি ফুলপুরের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মঙ্গল কামনা করেন।