আল মামুন গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :
সুদ, ঘুষ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার মানুষ। এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে তারা মানববন্ধন করেছেন। সোমবার (২৬ মে) বেলা ১১টায় উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনের সড়কে উপজেলা ইমাম পরিষদ ও সর্বস্তরের মানুষ মানববন্ধনে অংশ নেন।এতে গলাচিপা উপজেলায় সুদ ও ঘুষ-দুর্নীতির ভয়াবহ বিস্তার রোধে প্রশাসনের জরুরি ও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। তারা বলেন, সুদের ফাঁদে পড়ে সাধারণ মানুষ যেমন নিঃস্ব হচ্ছে,তেমনি ঘুষ-দুর্নীতির কারণে ন্যায়বিচার ও সেবা ব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে পড়ছে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা ইমাম পরিষদের সেক্রেটারি হাফেজ মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গলাচিপা পৌর শাখার সভাপতি নাজমুল হুদা রিপন, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, সাংবাদিক বৃন্দ, সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ, স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, মসজিদের ইমাম, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, মানববন্ধনে অংশ নেন। এতে উপস্থিত ছিলেন সম্প্রতি সুদের চাপ সইতে না পেরে আত্মহত্যা করা গলাচিপা পৌর শহরের বাসিন্দা খোকন দাসের পরিবার থেকে সঞ্জীব দাস ও দেবী রানী দাস। বক্তারা খোকন দাসের আত্মহত্যাকে সুদ-ঘুষ চক্রের নির্মম পরিণতি উল্লেখ করে সুদি মহাজনদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।বক্তারা বলেন, খোকন দাসের মতো ঘটনা গলাচিপায় প্রায়ই ঘটছে। সুদ ও ঘুষের রাহুগ্রাসে সাধারণ মানুষ আজ নাকাল। এই অমানবিক পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের পাশাপাশি সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান বক্তরা। উল্লেখ্য, গত ২১ মে গলাচিপা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মানিক দাসের ছেলে বই বিক্রেতা খোকন দাসের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রাত ৯টার দিকে নিজ লাইব্রেরি থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়। জানা যায়, তিনি বিভিন্ন সময় সুদে টাকা নিয়ে ফেরত দিতে না পারায় পাওনাদারদের চাপ ও কটূক্তি হজম করতে হয়েছে। তার মরদেহের পাশে পাওয়া চিরকুটে লেখা ছিল ‘রেখা ও হামিদার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গলায় দড়ি দিতে বাধ্য হই।