নাজিরপুর (পিরোজপুর) প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের নাজিরপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বরইবুনিয়া বালিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ও বরইবুনিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক বখতিয়ার হোসেন ও ওই বিদ্যালয়ে ছাত্রী জান্নাতুল, রাইসা, তানজিবা সহ ৫ শিক্ষার্থী আহত হয়। গুরুত্ব আহত শিক্ষক মোঃ বখতিয়ার হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।বুধবার (২৮ মে) দুপুরে উপজেলার মাটিভঙ্গা ইউনিয়নের বরইবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ও বরইবুনিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।জানা যায়, বরইবুনিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অনুন্নত অবকাঠামো এবং শিক্ষকদের নিয়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে বরইবুনিয়া বালক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্ররা। বিষয়টি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা প্রতিবাদ করায় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সৃষ্টি হয়। এতে গুরুত্বর আহত হয় এক শিক্ষক এবং ৫ জন ছাত্রী। সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনাস্থলে গিয়ে দুপক্ষকেই নিয়ন্ত্রনে আনেন এবং আহতদের নিজ গাড়ি এবং এম্বুলেন্সে করে নাজিরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন, বর্তমানে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এবিষয়ে বরইবুনিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মলয় মালাকার বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের অবকাঠামো অনুন্নত এবং শিক্ষকদের নিয়ে পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ও তাদের ছাত্ররা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে। বিষয়টি আমাদের স্কুলের কয়েকজন ছাত্রীরা তার প্রতিবাদ করায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে আমাদের ৫ জন ছাত্রী ও এক জন শিক্ষক আহত হয়েছে।এবিষয়ে বরইবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত কুমার রায় বলেন, আমার বিদ্যালয়ের এক ছাত্র স্কুলে আসার পথে বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ থেকে ৮ জন ছাত্রী পূর্বের কথা নিয়ে তাদের মধ্যে কাটাকাটির জেড় ধরে মারধর করে। বিষয়টি আমার নজরে আসলে আমি সমাধানের জন্য ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মলয় মালাকারকে ফোন দেই এবং আমরা উভয়ই বিষয়টি সমাধান করি। বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা চলে যাওয়ার সময় আমার স্কুলের এক ছাত্র বিদ্যালয়ের ৩য় তলা থেকে বেঞ্চের পায়া ভেঙ্গে ছুড়ে মারে এতে তাদের এক শিক্ষক আহত হয় এবং ঘটনা পূনরাবৃত্তি ঘটে। বরইবুনিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতি তানভীর আহম্মেদ সুমন বলেন, এ ঘটনায় আমি প্রতক্ষভাবে উপস্থিত ছিলাম। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের নিকট এর সুষ্ঠু সমাধান কামনা করি। নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক শিমুল কৌশিক সাহা বলেন, ৪ ছাত্রী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। তারা এখন আগের চেয়ে অনেকটা সুস্থ।এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফজলে রাব্বি বলেন, সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই এবং শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় উভয় স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসীদের নিয়ে পরিবেশ শান্ত করি। এনিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, তদন্ত করে আইনগত ভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।নাজিরপুর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো. মাহমুদ আল ফরিদ ভুইয়া বলেন, এ ব্যাপারে লিখিত কোন অভিযোগ আসে নি। তবে বিষয়টি শুনছি।