নাসিম উদ্দীন স্টাফ রিপোর্টার ঃ
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় দাঁত তুলতে এসে ৯ বছরের একটি শিশু মেয়ে ডেন্টিস কতৃক যৌন হয়রানীর শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।পুলিশ নিহান আহমেদকে (২৫) নামে ওই ডেন্টিস্টকে আটক করেছে।এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। সে পৌরসভার গোডাউন মোড়ে অবস্থিত রাজশাহী ডেন্টাল কেয়ারের স্বত্বাধিকারী মোকারিমপুর ইউনিয়নের গোলাপনগরের বাসিন্দা মোস্তাক আহমেদের ছেলে।অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, বৃহস্পতিবার (২৯শে মে) রাত ৮ টায় শিশুটি বাবার সাথে দাঁত উঠাতে যায় নিহান আহমেদকে (২৫) নামে ওই ডেন্টিস্ট এর চেম্বারে। সে সময় শিশুটির মুখে পুরুষাঙ্গ ঢুকিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করে ওই শিশু মেয়েটি। অভিযোগ পেয়ে ডেন্টিস্ট নিহান আহমেদকে(২৫) আটক করে। শুক্রবার এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানায় বাদী হয়ে শিশুটির মা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (২০০৩) আইনে একটি মামলা দায়ের করে। ভুক্তভোগী শিশু ও তার মা-বাবা জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটির বাবা তাকে দাঁত তুলতে ডেন্টিস্ট নিহালের চেম্বারে নিয়ে যায়। দাঁত তোলা হয়ে গেলে নিহাল তার বাবাকে বাইরে যেতে বলে। সুযোগ বুঝে শিশুটির মুখে সে তার গোপনাঙ্গ প্রবেশ করায় এবং জোরপূর্বক যৌন-নিপীড়নের চেষ্টা করে। পরে শিশুটিকে চাকু দিয়ে ভয় দেখায়, যাতে সে কাউকে এই ঘটনা না বলে।পরবর্তীতে শিশুটি ডাক্তারের সমস্ত অপকর্ম তার মা-বাবাকে বলে। তারা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে তাকে আটক করে।ভেড়ামারা ডেন্টাল প্র্যাকটিশনার সমিতির সভাপতি ডেন্টিস্ট শহিদুল ইসলাম বলেন, নিহান কুষ্টিয়া কারিগরি বোর্ডের অধীনে একটি কোর্স করেছে। বিগত এক বছর আগে সে রাজশাহী ডেন্টাল কেয়ার প্রতিষ্ঠানটি দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে ৯ বছরের একটি বাচ্চা মেয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। এই বিষয়টা নিয়ে আমরা সমিতিতে আলোচনা করব।ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মিজানুর রহমান বলেন, ডেন্টিস্ট নিহানের বিরুদ্ধে যৌনাচারের অভিযোগ শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে সিভিল সার্জনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ (চলতি দায়িত্বে) রাকিবুল ইসলাম বলেন, যৌন নিপীড়নের ঘটনাটি জানাজানি হলে পুলিশ গিয়ে ডেন্টিস্ট নিহানকে আটক করে। ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছে। আসামিকে শুক্রবার দুপুর বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।