মোঃ সাকিব খান মাগুরা জেলা প্রতিনিধি :
মাগুরার শ্রীপুরে নাজির সরকার, সত্তার মণ্ডল ও কাছেদ কাজী নামে তিন ব্যক্তির দ্বন্ধে ১৫ টি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না কেউই। এই তিন ব্যক্তির দ্বদ্ধে সত্তার মণ্ডল যাতায়াতের শত বছরের পুরানো চলাচলের রাস্তায় বাঁশের বেড়া দেওয়ায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে পরিবারগুলো। শুধু তাই নয় রাস্তাটি মাঠের সাথে সংযুক্ত হওয়ায় কৃষকের মাঠের সকল কাজ কর্ম বন্ধ হয়ে পড়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আমলসার ইউনিয়নের বিলসোনাই গ্রামে। এলাকাবাসী এ ভোগান্তি থেকে পাওয়ার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, এই রাস্তার দু’ধারে শত বছর ধরে অন্তত ১৫ টি পরিবার বসবাস করে আসছে। সে সময় থেকেই ওই পরিবারগুলোর চলাচলের একমাত্র মাধ্যম ছিল রাস্তাটি। কিন্তু কাছেদ কাজীর রোপণকৃত একটি বরইগাছ রাস্তার উপর থাকায় প্রতিবেশীরা গাছটি কাটার অনুরোধের পরেও গাছটি সেখানেই রয়ে গেছে। তাছাড়া হঠাৎ রাস্তার পাশে নাজির সরকার ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করলে পার্শ্ববর্তী জমির মালিক সত্তার মণ্ডল রাস্তার জায়গা না রেখেই পুরো জায়গায় বাঁশের বেড়া দিয়ে রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছে। যার ফলে ওহাব কাজী, মান্নান কাজী, হাফিজার, নুরুল হোসেন, জিয়াউর, মুক্তার সর্দারসহ অন্তত ১৫ টি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। জরুরি প্রয়োজনে আশপাশের ঝোপঝাড়ের ভিতর দিয়ে চলাচল করছে। এছাড়া জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের বেড়ার মধ্য দিয়েই অনেকের চলাচল করতে দেখা গেছে। বাইসাইকেল থেকে শুরু করে সকল প্রকার যানবাহন অন্যের বাড়ি ও রাস্তার উপর রেখেই তাদের যেতে হচ্ছে নিজ বাড়িতে। শুধু তাই নয় চালচলের রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মাঠে কাজ করতে যাওয়া বিলসোনাই গ্রামসহ আশেপাশের কয়েক গ্রামের লোকজন চরম ভোগান্তিতে পড়ছে।এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো বলেন, শত বছর ধরে আমাদের বাপ-দাদারা এ রাস্তা ব্যবহার করে আসছে। আমরাও এ রাস্তায় চলাচল করছি। কিন্তু নাজির সরকার রাস্তার জায়গা না রেখে ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করলে পাশের জমির মালিক সত্তার মণ্ডল পুরো রাস্তা বদ্ধ করে দিয়েছে। তাছাড়া কাছেদ কাজীকে রাস্তার উপর থেকে বরইগাছ কাটতে বললেও তিনি কাটছে না। আমরা ১৫ টি পরিবার পুরোপুরি অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছি। আমরা দ্রুত এ সমস্যার সমাধান চাই।এ বিষয়ে কাছেদ কাজী বলেন, রাস্তার কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। রাস্তার কাজ হয়নি। কাজ শুরু হলে আমি গাছ কাটতে চেয়েছি। রাস্তার কাজ শুরু হলে আমি গাছ কেটে দিবো৷এ বিষয়ে নাজির সরকার বলেন, আমি রাস্তার জায়গা ছেড়ে ঘরের কাজ শুরু করেছিলাম। আমি রাস্তার জায়গা ছাড়লেও পাশের জমির মালিক সত্তার মণ্ডল পুরো রাস্তা বদ্ধ করে দিয়েছে।সত্তার মণ্ডলের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ওই জায়গায় উপর দিয়ে ওই পরিবারগুলো চলাচল করে আসছে। আমি কোন কিছু বলি না। তবে নাজির সরকার রাস্তার কোন জায়গা না রেখেই ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করে। তাই বাধ্য হয়ে আমি আমার পুরো জায়গা ঘিরে দিয়েছি। আমার পাশের জমির মালিক যদি রাস্তার জায়গা ছেড়ে দেয়, আমিও ছেড়ে দিবো।