নিজস্ব প্রতিবেদক :
মুন্সিগঞ্জ গজারিয়া উপজেলা বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামসংলগ্ন মেঘনা নদীতে একটি সংঘবদ্ধ চক্র নৌযান ও ট্রলার থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করছে।গজারিয়া উপজেলা আড়ালিয়া গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীর শাখা নদীতে এ-ই ঘটনা ঘটে।স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত একটি সংঘবদ্ধ চক্র প্রকাশ্যে নৌযান ও ট্রলার থেকে জোরপূর্বক টাকা আদায় করছে। চাঁদা না দিলে চলাচলে বাধা, এমনকি নৌযান শ্রমিকদের হুমকি ও মারধরের ঘটনাও ঘটছে বলে জানা গেছে।ভুক্তভোগী একজন ট্রলার চালক বলেন,"আমরা দিনভর খেটে নদীতে মালামাল পরিবহন করি। অথচ মাঝপথে এসে কয়েকজন এসে বলে 'চাঁদা দে, না হলে যেতে দেব না'। চাঁদা না দিলে ঝামেলা করে, মাল নামিয়ে দেয়, আমাদের গালাগাল করে।"স্থানীয় বাসিন্দারা জানান,"এই ঘটনা আমরা নিয়মিতই দেখতে পাচ্ছি। আগে রাতে করতো, এখন তো দিনে-দুপুরেও করছে। প্রশাসনের দৃষ্টি না থাকায় ওরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।"এ বিষয়ে উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন,"আমরাও অভিযোগ পেয়েছি। তবে যারা এসব করছে তারা সংঘবদ্ধ এবং বহিরাগত বলেও মনে হচ্ছে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছি।" তিনি আরো জানায়, চাঁদাবাজ চক্রকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক এবং নদীপথে চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।এ বিষয়ে গজারিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শরজিৎ কুমার ঘোষ এর সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তার মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তা সম্ভব হয়নি।গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আনোয়ার আলম আজাদ জানান, বিভিন্ন মাধ্যমে বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে।ইতোমধ্যে নদী এলাকায় টহল জোরদার করা করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। চেষ্টা করছি অপরাধী চক্রটাকে ধরে আইনের আওতায় আনার জন্য। তিনি আরো বলেন, কেউ আমাদের কাছে একটা অভিযোগ করলে আমরা তা গুরুত্ব সহকারে দেখছি।"স্থানীয়দের মতে, যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে এই ধরনের অপকর্ম আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে এবং নদীপথে ব্যবসা-বাণিজ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলবে।