মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ক্লু-লেস অটোচালক মোঃনেকবর হোসেন হত্যা মামলার আসামীকে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) উপজেলার বাসাইল ও বালুচর ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে এই আসামীদের গ্রেফতার করেন।হত্যাকান্ডের ব্যবহৃত রশি ও অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়েছে।পুলিশ সুত্রে জানাযায়,গত ২ অক্টোবর সকাল অনুমান ৬:৩০ ঘটিকার সময় উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের খাসকান্দী গ্রামের রেলওয়ে রাস্তার ৩৩৪ ও ৩৩৫নং পিলারের মাঝখানে রাস্তার উত্তর পাশে পানিতে ভাসমান অবস্থায় নেকবর হোসেন(২২),পিতা:মৃত শাহজাহান মিয়া, সাং-চর গুলগুলিয়া,থানা:সিরাজদিখান,জেলা: মুন্সীগঞ্জ এর মৃত দেহ পাওয়া যায়।সে পবিত্র কোরআনের হাফেজ এবং পেশায় ইজিবাইক চালক ছিলো।পুলিশ মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্নয়ের লক্ষ্যে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে ভিকটিমের বড় ভাই মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন(৩৭)বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় এজাহার দায়ের করেন।পুলিশ মামলাটি অত্যান্ত গুরুত্বের সাথে তদন্ত পূর্বক ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভিকটিমকে হত্যার প্রধান আসামী ভিকটিমের আপন মামা মোঃ জাবেদ (৩৭),পিতা-মৃত আরাফাত আলী, মাতা-মৃত গোলাপী বেগম,সাং-চর গুলগুলিয়া, থানা-সিরাজদিখান,জেলা-মুন্সীগঞ্জকে চর গুলগুলিয়া হতে গ্রেফতার করেন এবং তাহার দেখানো মতে হত্যাকান্ডে তার সহযোগী আসামী মোঃ রেজাউল (২৭),পিতা-মোঃআলী আকবর, মাতা-মৃত মাজেদা বেগম,সাং-কাঠালতলী,থানা-মনিরামপুর,জেলা-যশোর,এপি সাং-চরগুলগুলিয়া,থানা-সিরাজদিখান,জেলা-মুন্সীগঞ্জকে তার গুলগুলিয়া গ্রামের ভাড়া বাড়ী হতে গ্রেফতার করেন।তাদের দেখানোমতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রশি উদ্ধার করা হয়।ধৃত আসামী জাবেদ পেশায় ইজিবাইকের মিস্ত্রী ও অপর আসামী রেজাউল ইজি বাইকচালক এবং এই সূত্রে আসামীদের মধ্যে সু-সম্পর্ক ছিল।পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা প্রাথমিক ভাবে স্বীকার করে যে নগদ অর্থের প্রয়োজনে দুজনে মিলে পরিকল্পিতভাবে ভিকটিম মোঃনেকবর হোসেন কে হত্যা করে তার ব্যবহৃত ইজিবাইকটি ছিনিয়ে নিয়ে আসামী মোঃ শাহাজালাল (২৭),পিতা-মৃত নুর ইসলাম, মাতা-মৃত শাহিনুর বেগম,সাং-কৃষ্ণনগর,থানা-সিরাজদিখান,জেলা-মুন্সীগঞ্জ এর কাছে ৩৫,০০০/-টাকায় বিক্রয় করেন।আসামীদের দেয়া তথ্যে ও দেখানোমতে অত্র থানাধীন কৃষ্ণনগর এলাকা হতে আসামী মোঃ শাহাজালালকে গ্রেফতার করা হয়।আসামী শাহাজালালকে জিজ্ঞাসাবাদে তার দেয়া তথ্য ও দেখানোমতে নারায়নগঞ্জ জেলার নারায়নগঞ্জ থানাধীন ডিগ্রীরচর এলাকা হতে ছিনতাইকৃত ইজিবাইকের বিচ্ছিন্ন অংশ সমূহ উদ্ধার পূর্বক জব্দ করেন পুলিশ।প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় নগদ টাকার প্রয়োজনে আপন মামা মোঃ জাবেদ ও তার সহযোগী মোঃরেজাউলকে সাথে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে ভিকটিম মোঃনেকবর হোসেনকে গলায় রশি পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার ইজিবাইকটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। গলার রশি উদ্ধারপূর্বক থানা পুলিশের হেফাজতে আছে।উল্লেখ্য গত ১ অক্টোবর নিখোঁজের একদিন পর ২ অক্টোবর মো: নেকবর হোসেন(২২)নামের এক অটোচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।নিহতের বড় ভাই মোঃতোফাজ্জেল হোসেন(৩৭)বাদী হয়ে থানায় এজাহার দায়ের করেন।