নিজস্ব প্রতিবেদক :
পিরোজপুরের কাউখালীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয়, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের ছবি সম্বলিত ও পিরোজপুর -২ আসনের নবনির্বাচিত এমপি মোঃ মহিউদ্দীন মহারাজকে তার ছবি সম্বলিত উপজেলা ছাত্রলীগের সৌজন্যে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা ব্যানার ফেস্টুন ছিড়ে ফেলেছে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারী) দিবাগত রাতের আঁধারে কে বা কারা এ বিলবোর্ডের ব্যানার ছিড়ে ফেলেছে কেউ জানে না।এ নিয়ে জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।দলীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মহিউদ্দীন মহারাজ এমপি নির্বাচিত হন।তাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে কাউখালী উপজেলা ছাত্রলীগের সৌজন্যে উপজেলার বিভিন্ন স্হানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয় সহ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের ছবি সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন লাগানো হয়।সেই ব্যানার ফেস্টুন বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের আধারে কে বা কারা ছুরি দিয়ে ছিড়ে ফেলেছে।এর আগে উপজেলা ছাত্রলীগের উপজেলা পরিষদের সামনের দলীয় কার্যালয়টি উদ্বোধনের আগের দিন ১০ অক্টোবর রাতের আধারে দূর্বৃত্তরা আগুন দেয়।স্থানীয়রা বলেন, সম্ভবত রাতের আঁধারে প্রতিহিংসা বশত এ কাজটি কেউ করে থাকতে পারে।সরকার ক্ষমতায় থাকতে কুচক্রী মহল প্রধানমন্ত্রীর ছবিযুক্ত ব্যানার ছিড়ে চরম দুঃসাহস দেখাচ্ছে।এদের খুঁজে বের করে অবশ্যই আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিত।এবিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌকির আহম্মেদ সীমান্ত জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয়, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটির সভাপতি- সাধারণ সম্পাদকের ছবি সম্মেলিত নবনির্বাচিত পিরোজপুর -২ আসনের এমপি মোঃ মহিউদ্দীন মহারাজকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সৌজন্যে উপজেলার বিভিন্ন স্হানে বিলবোর্ড ব্যানার টাঙ্গানো ছিলো।ব্যানার টাঙ্গানোর একদিন পরেই দেখা যায় কে বা কারা যেন উপজেলা পরিষদের সামনে, টেম্পু ষ্টান্ড, বাস ষ্টান্ড, আশ্রম গেট সহ কয়েকটি স্হানের ব্যানার ছিড়ে ফেলেছে দূর্বৃত্তরা।এছাড়াও দূর্বৃত্তরা গত ১০ অক্টোবর রাতে আমাদের দলীয় কার্যালয়ে আগুন দেয়।উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রিছাদ হাওলাদার ক্ষোভের সাথে জানান, কোন সুস্থ মানুষ এমন কাজ করতে পারে না।রাতের আঁধারে যারা কাজটি করেছে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।না হলে এমন ঘটনা আরও ঘটবে।এ ঘটনায় জিডি করার প্রক্রিয়া চলছে।