উজিরপুর (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ
বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার জল্লা ইউনিয়নের কাজিসা গ্রামের কাজীসা মৎস্য প্রকল্পের প্রধান বাধ কেটে দিয়ে কয়েক লক্ষ টাকার মাছ ও পোনা ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।স্থানীয়দের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই প্রকল্পের পূর্ববর্তী ইজারাদার মোঃ কাওসার শিকদারের নেতৃত্বে মোঃ আসাদুজ্জামান মানিক, এনামুল হক হাওলাদার, জাহিদুল ইসলাম মিঠু, মোঃ ওয়াসিম হাওলাদার রাতের আঁধারে ঘেরের বাধ কেটে দেয়, এতে ঘের থেকে কয়েক লক্ষ টাকার মাছ ও মাছের পোনা বেরিয়ে যায়।বাধ কাটার ফলে ক্ষতির শিকার হয় ১৭০ জন কৃষক।মৎস্য ঘেরের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান জানান, গত ৫ এপ্রিল ভোর চারটা থেকে পাঁচটার মধ্যে এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের সহায়তায় ঘেরের পূর্ববর্তী ইজারাদার কাওসার শিকদার ঘেরের বাধ কেটে ফেলে, এ বিষয়ে খোলা ডাকে ইজারা প্রাপ্ত মোঃ কামাল হোসেন মল্লিক বাদী হয়ে বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন, মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিআইবি) কে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।সংঘাত এড়াতে উজিরপুর মডেল থানা পুলিশ অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জাফর আহমেদ উভয় পক্ষকে ডেকে নতুন কমিটি করে মৎস্য প্রকল্পটি চালু রাখার চেষ্টা করেন।এতে প্রতিপক্ষের মোঃ কাউসার হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে, ২৯ মে গভীর রাতে ঘেরের প্রধান বাধ কেটে দেয় এর ফলে কয়েক লক্ষ টাকার মাছ ও পোনা পানিতে ভেসে চলে যায়।এ বিষয়ে উজিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক মোঃ তৌহিদুজ্জামান সোহাগ জানান, ঘেরের বিষয়ে কয়েকবার উভয় পক্ষেকে বসিয়ে সমাধানের চেষ্টা করেও আমরা ব্যর্থ হয়েছি।যেহেতু বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে,এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিবেন আদালত।অভিযুক্ত মোঃ কাউসার শিকদারের কাছে জানতে চাইলে, তিনি সাংবাদিকদের কে বলেন, ঘেরের বাধ আমি কাটিনি কেটেছে জমির মালিক মানিক শিকদার কারণ তিনি ন্যায্য হিসাব পায়নি।এখন পর্যন্ত আমার সাথে লিজ কার্যকর রয়েছে। বরঞ্চ ঘেরের মধ্যে আমার মাছ ও মাছের পোনা রয়েছে।স্থানীয়রা আরো জানান কাওসার সিকদারের নেতৃত্বে কয়েকজন সন্ত্রাসী জোর পুর্বক মাছ চাষ করতে চায়। এতে প্রকৃত জমির মালিকেরা বাধা দিলে রক্তাত্যক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে।আর তার কারনে যদি মাছ চাষ বন্ধ হয়ে যায় তবে কয়েকশত একর জমির ধান চাষ অনিশ্চয়তায় পরবে।