কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার কেন্দ্রীয় ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলী হোসেনের চিকিৎসার খোঁজ খবর নিতে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে যান কাউখালী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এস এম আহসান কবির, সদস্য সচিব এইচ এম দ্বীন মোহাম্মদ ও উপজেলা ছাত্র দলের সদস্য সচিব মোঃ শোয়াইব সিদ্দিকী। ইতিপূর্বে তার খোঁজ খবর নিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম হাসপাতালে গিয়েছিলেন।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিএনপির নেতৃবৃন্দ হাসপাতালে মোহাম্মদ আলী হোসেনকে দেখতে যান।আহত মোহাম্মদ আলী হোসেনের পরিবার সূত্রে জানাযায়, আহত মোহাম্মদ আলী জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে কাউখালী থেকে ঢাকার উত্তরায় তার বড় ভাই ওমরের বাসায় বেড়াতে যায়। এরই মধ্যে শেখ হাসিনার সরকার পতনের ডাক দেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। গত ১৮ জুলাই আলী দুপুরে বাসা থেকে বের হয়ে উত্তরার ৬ নং সেক্টরে গিয়ে ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে অংশ নেয়। শিক্ষার্থীদের ওই মিছিলে পুলিশ বিকেলের দিকে গুলিবর্ষণ করে। এতে মোহাম্মদ আলী হোসেনের পেট, পায়ে ও কোমরে গুলিবিদ্ধ হয়। পরে শিক্ষার্থীরা আহত আলীকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।কুর্মিটোলা হাসপাতালের চিকিৎসকরা অপরেশনের মাধ্যমে গুলি বের করেন। বর্তমানে আলী কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। তার আরও একটি অপরেশন করতে হবে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। কিছু দিন আগে আলীর পিতা মারা যান। এখন সংসারের উপার্জন সক্ষম একমাত্র বড় ভাই ওমর হোসেন।সে ঢাকায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চাকরি করে সংসার চালেতেন। ভাইয়ের চিকিৎসা করাতে গিয়ে তার কর্মস্হলে সময় দিতে না পারায় তার সেই চাকরিটিও চলে যায়। বর্তমানে অসহায় বড় ভাই ওমরের পক্ষে ঢাকায় থেকে আলীর চিকিৎসা ও সংসার চালানো তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না বলে যানান তার পরিবার।
আহত আলীকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে আহসান কবির ও দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আহত ছাত্র-জনতার খোঁজখবর নিতে হাসপাতাল ও তাদের বাড়ি যাচ্ছি। তারই ধারাবাহিকতায় আমারা এলাকার সন্তান মোহাম্মদ আলী হোসেনকে দেখতে হাসপাতালে এসেছি। আমরা সর্বদা আহত আলীর পাশে রয়েছি, ইনশাআল্লাহ থাকবো। এসময় নেতৃবৃন্দ মোহাম্মদ আলী হোসেনের দ্রুত সুস্হতার জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।