নিজস্ব প্রতিবেদক :
মুন্সীগঞ্জ শহরস্থ পাশপোর্ট অফিসের সামনে প্রকাশ্যে হত্যার উদ্দ্যেশে তানজিলা (২৫) নামের এক গৃহবধুর উপর হামলা চালায় তার স্বামী সোহেল পারভেছ। এতে গুরতর অবস্থায় তানজিলাকে উদ্বার করে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে যায় পথচারীরা।জানাযায়,২০২১ সালের ১২ফেব্রুয়ারী শরিয়ত মোতাবেক নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানার সম্ভপুরা ইউনিয়নের চরকিশোরগঞ্জ গ্রামের হযরত আলীর মেয়ে তানজিলা আক্তার (২৫) কে বিবাহ দেন মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার দক্ষিণ ইসলামপুর যোগিনীঘাট গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে সোহেল পারভেজ (৩৫) এর নিকট। ৫লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করিয়া।তানজিলা আক্তারের বিয়ের সময় মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করিয়া ৪ ভরি স্বর্ন ও নগদ ২ লক্ষ টাকা দেয় মেয়ের স্বামী সোহেল পারভেজকে। প্রথমে ভালই চলছিলো তানজিলার দাম্পত্য জিবন, তাদের দাম্পত্যে যখন শিশু সন্তান তানভীর হন্ম হয় এর পর থেকে তানজিলার স্বামী ও শশুর শাশুরী মোটা অংকের টাকা দাবী করে। শুরু তানজিলার উপর শারিরিক মানুষিক নির্যাতন। পরে ২০২৩’ ইং সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১২ তারিখে তানজিলা কে বারার বাড়ি পাঠিয়ে শিশু সন্তান তানভীরসহ তার স্বামী সোহেল পারভেজ। এবং বলে ১০ টাকা না নিয়ে আর আমার বাড়িতে যাবিনা। এরপর থেকে আর কেন যোগাযোগ করেনা।ছেলে তানভীর সহ বাবার বাড়িতে থাকে তানজিলা। তানজিলা ও তার স্বামী সোহেল পারভেজ সহ যৌত একটি কিনে ছিল স্টেডিয়াম যা দোকান নং ১৬। সেই দোকানের সোহেলের অংশটুকু বিক্রি করে দেয় রিপন নামের জৈনিক ব্যক্তির কাছে। আর তানজিলা তার অংশটুকু বিক্রি করে বিপ্লব ও শাহিন নামের জৈনিক ব্যক্তির নিকট। এরপর থেকে কেউ কারো সাথে যোগাযোগ নেই।অন্যদিকে ভরনপোষণ এর দাবীতে পারিবারিক মামলা করে তানজিলা তার স্বামীর বিরুদ্ধে। সোহেল পারভেজ জোরপূর্বক তানজিলার দোকান দখল করে নেয়।পরে সেই দোকানে লোকজন নিয়া স্টেডিয়াম কতৃপক্ষ এর সামনে দোকানে তালা দেয় তানজিলা।এরই জের ধরে তানজিলার মা রোকসানা বেগম ও কাজী আনসার সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা দেয় সোহেল পারভেজ। ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার ১৫ মে দুপুর ১২ টার সময় তানজিলাকে মুন্সিগঞ্জ শহরের পাসপোর্ট অফিসের সামনে একা পেয়ে তার উপর অতকিত হামলা চালায় সোহেল পারভেজ ও তার মা রোজিনা বেগম (৫২) ননদ তাহমিনা (৩০) শশুর কামাল হোসেন দাড়িয়ে থেকে তানজিলা কে মারার হুকুম দেয়। এসময় সোহেল পারভেজ ও তার লোকজন মিলে তানজিলা কে বেদম প্রহার করে। তার ডাক চিৎকারে পথচারীরা এগিয়ে এসে তানজিলা কে উদ্ধার করে সদর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করায়।এবিষয়ে তানজিলা জানায় তার বিয়ের সময় শশুর বাড়ির লোকজনকে ৪ ভরি সর্ন ও নগদ ২ লক্ষ টাকা দেন। এরপরেও যৌতুক লোভী পরিবার তাকে আবারো ১০ লাখ টাকার জন্য চাপ দেয়।টাকা না দিতে পারায় তানজিলার উপর শুরু হয় শারিরীক নির্যাতন।নকল দলিল করে তানজিলার খরিদকৃত দোকানটি দখল করে নেয় তার স্বামী সোহেল পারভেজ।হামলার ঘটনায় মুন্সীগঞ্জ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় আহত তানজিলা আক্তার।