কাউখালী (পিরোজপর) প্রতিনিধি :
দূর্নীতি ও অনিয়মে ১৭ বছরেও পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় ভবন নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।বুধবার (৪ জুন) বেলা ১১টায় নির্মাণাধীন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের সড়কে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে চিকিৎসক, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ গ্রহন করে।মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কাউখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এস,এম আহসান কবীর, পিরোজপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর সহ-সভাপতি মাওলানার ছিদ্দিকুল ইসলাম, উপজেলা ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের সভাপতি মাওলানার আলী হোসেন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জিয়াউল হাসান নিক্সন, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আসাদুজ্জামান তালুকদার মামুন, কাউখালী প্রেস ক্লাবের সভাপতি এনামুল হক প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আগামী ৩০ শে জুনের মধ্যে কাউখালী হাসপাতালের নতুন ভবনের নির্মাণ কাজের কার্যক্রম শুরু না হলে সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ মিছিলসহ বিভিন্ন কঠোর সূচি দিতে বাধ্য হবে এলাকাবাসী। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের আওতায় মূল ভবন ও দুইটি আবাসিক ভবনের জন্য ৫ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে দরপত্র আহবান করা হলে তৎকালীন আওয়ামীলীগের প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবীর নানকের ভাই নাসির উদ্দিন লিটু ক্ষমতার অপব্যহার করে নূরিয়া এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি কাজটি হাতিয়ে নেয়। ওই বছর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি ২০ শতাংশ কাজ করে ফেলে রেখে বিল নিয়ে চলে যায়। সিডিউল অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ না করায় ২০১৪ সালের ২৫ জুন ওই ঠিকাদারের দরপত্রের কার্যাদেশ বাতিল করা হয়। এবং ২০২৪ সালের ২১শে এপ্রিল দুদক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তিন প্রকৌশলী ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মালিকের নামে মামলা করেন। ২০২২ সালের ২৪ জুলাই কহিনুর এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২৫ কোটি ১১ লক্ষ টাকার কার্যাদেশ পেয়েও ১ বছরের মধ্যে ভবনের কাজ শেষ করার কথা থাকলেও তারা কাজ শেষ না করে পালিয়ে গেলে উক্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নামে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মামলা করে। মামলা এবং ঠিকাদারের গাফিলতিতে কাউখালী উপজেলার দেড় লক্ষ মানুষের সেবা দেওয়ার একমাত্র হাসপাতালটিতে কোন ভবন না থাকায় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলার লক্ষাধীক মানুষ।