রক্তাক্ত জুলাই গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বুকের রক্ত ঢেলে লেখা অঙ্গীকার মন্তব্য করে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থান না হলে আগামী ২০ বছরেও আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ঘটানো সম্ভব হতো না।জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র জনতার আন্দোলনে লেবার পার্টি ও ছাত্র মিশনের নেতাকর্মীরা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে এবং শহীদ হয়েছে। আমরা শ্রদ্ধা জানাই আমাদের শহীদ আউয়াল মিয়া ও নাঈম হাওলাদারকে, যারা ফ্যাসিবাদী শাসনের গুলিতে প্রাণ দিয়েছে। শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকাল ৪টায় রাজধানীর আল রাজি কমপ্লেক্সে “রক্তাক্ত জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে” বাংলাদেশ লেবার পার্টি, ঢাকা মহানগর শাখার উদ্যোগে প্রতিনিধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।ডাঃ ইরান বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে গণজনতার স্পষ্ট না-বলার আত্মাহুতি ইতিহাস। ফ্যাসিবাদ ও তাদের দোসররা এখনও জুলাই গনঅভ্যুত্থানের বদলা নিতে নানা চক্রান্তে লিপ্ত আছে। আমরা ভোট ডাকাতি, দমন-পীড়ন, গুম-খুন, আয়না ঘরে নির্যাতন, বাক-স্বাধীনতার গলা টিপে ধরা, সংবাদমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ, বিচারব্যবস্থার দলীয়করণ আর অর্থ পাচারের ভয়ঙ্কর নীলনকশা জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখতে চাই।ডাঃ ইরান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অবিলম্বে ফ্যাসিবাদের দোসরদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। যারা ভারতীয় আধিপত্যবাদী আগ্রাসনের সহযোগী, যারা দেশের সম্পদ, মর্যাদা ও সার্বভৌমত্ব বিক্রি করে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে, তাদের কোন ক্ষমা নেই। তিনি বলেন, লেবার পার্টি জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার, প্রকৃত গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন ও ইনসাফভিত্তিক জনকল্যাণ রাষ্ট্র গড়তে বদ্ধপরিকর। জনগণই হবে ক্ষমতার উৎস। আমরা ওমর-ই সাম্যবাদী দর্শনের আলোকে শোষণ-বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই। লেবার পার্টি ও ছাত্র মিশন যে আত্মত্যাগের ইতিহাস সৃষ্টি করেছে, তা বৃথা যাবে না। দেশের ছাত্র, যুব, শ্রমিক, কৃষক, নারীদের নিয়ে ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদ বিরোধী বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নাই।সাবেক মহানগর সাধারন সম্পাদক মোঃ জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এস এম ইউসুফ আলী, এডভোকেট জহুরা খাতুন জুঁই, মোসলেম উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি তরিকুল ইসলাম সাদি, দফতর সম্পাদক মোঃ মিরাজ খান, প্রচার সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন খান, মহিলা সম্পাদিকা নাসিমা নাজনীন সরকার, কেন্দ্রীয় নেতা মোঃ মাসুম চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সভাপতি ডাঃ কামাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগর নেতা মোঃ ফিরোজ আলম, মাসুদ আলম পাটোয়ারী, এনামুল হক আকন্দ, বাংলাদেশ ছাত্র মিশনের সভাপতি সৈয়দ মোঃ মিলন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাজমুল ইসলাম মামুন, সহ সভাপতি সাইফুল ইসলাম, গুলশান থানা আহবায়ক আরিফ সরকার, পল্টন থানা আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন রিপন, সদস্য সচিব মোঃ সুমন, কোতোয়ালি থানা আহবায়ক আনিস মোল্লা, ডেমরা থানা সদস্য মোঃ রাজু আহমেদ, তুরাগ থানা সমন্বয়কারী রবিউল ইসলাম প্রমুখ। সভায় মোঃ মাসুম চৌধুরীকে আহবায়ক ও জাহিদুর ইসলামকে সদস্য সচিব করে ঢাকা মহানগর লেবার পার্টির ৭১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি