পিরোজপুর প্রতিনিধি :
মাদ্রাসা পড়ুয়া এক ছাত্রী হত্যার বিচারের দাবিতে অটোরিক্সা চালক পিতার সংবাদ সম্মেলন।সোমবার (২১ জুলাই) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার পিরোজপুর জেলা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মেয়ের হত্যা সংক্রান্ত নির্মম পরিনতির কথা সহ আসামীদের বিভিন্ন অপরাধের কথা তুলে ধরেন কামরুজ্জামান শেখ।সংবাদ সম্মেলনে কামরুজ্জামান শেখ বলেন, নাজিরপুর উপজেলার স্হানীয় মাদ্রাসায় পড়ুয়া আমার মেয়ে কামরুল নাহার আখি (১৬) হত্যার ন্যায় বিচার চাই। আমার মেয়েকে ২০২০ সালে ২ সেপ্টেম্বর রাতে আসামী রাসেদুল খন্দকার, এনামুল হক লিটন শেখ ও রাকিব খান বাবুসহ ৩ জন আমার বাসায় এসে বলে, তোমার মেয়ের সাথে রাসেদুলের প্রেমের সম্পর্ক আছে, বিয়ে দিতে হবে, তা না হলে তুলে নিয়ে বিবাহ দিব। এসময় ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে লিটন শেখ মেয়ের বাবাকে বলে, তোর মেয়ের অশ্লিল ভিডিও ধারণ করে রাখা আছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই সব ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এ অজুহাত দেখিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে পরিবারকে অশ্রাব্য গালিগালাজ করে।একপর্যায়ে আসামীরা ঘরে এসে আমার মেয়েকে গালে চড়-থাপ্পর মারে। পরে আমরা যেযার মতো রাতে ঘুমাতে যাই। পরের দিন ৩ সেপ্টেম্বর সকালে তার মা পুকুর ঘাট থেকে এসে ঘরের চালের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় মেয়ের লাশ দেখতে পায়।এ ঘটনায় ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর বাদী হয়ে কামরুজ্জামান শেখ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন (যার মামলা নং- এম.পি ৮৬/২০ নাজিরপুর)। পিরোজপুর আদালত ও নাজিরপুর থানায় আসামীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসীমূলক ও প্রভাব বিস্তারের একাধীক মামলায় রয়েছে। মামলার বাদী গণমাধ্য কর্মীদের জানান আসামীরা জামিনে বেড় হয়ে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী ও সেল ফোনে ভয়ভিতী ও হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে আসামী এনামুল হক লিটনের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোনে এ বিষয়ে কিছু বলবো না সরাসরি এসে বলেন।নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাহমুদ আল ফরিদ ভুইয়া বলেন, আসামীদের বিরুদ্ধে থানায় বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। তাদের বিভিন্ন অপরাধ সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।