1. multicare.net@gmail.com : আমাদের পিরোজপুর ২৪ :
মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১১:২৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ফুলপুরে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হাজী কেরামত আলী কলেজের অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন কাউখালীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে যুবদলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ‎পিরোজপুরে নানা আয়োজনে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন ‎ পিরোজপুরে রূপালী ব্যাংকের গ্রাহক সেবা পক্ষ উদযাপন ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির কাচারি ঘর হারিয়ে যাচ্ছে ! নাজিরপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় গৃহবধূর নাক বিচ্ছিন্ন গজারিয়ায় কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত মুন্সীগঞ্জে ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ ও সমাবেশ নভেম্বরের শেষে দেশে ফিরতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারেক রহমান

হাজী কেরামত আলী কলেজের অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৫৮ বার পড়া হয়েছে

আল মামুন গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়নের হাজী কেরামত আলী কলেজের অধ্যক্ষ আলীম উজজামানের অপসারণের দাবিতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায় কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন কর্মসূচি হয়। এসময় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, গণ অধিকার পরিষদ, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ, শিক্ষক,শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর ব্যানারে আয়োজিত এই মানববন্ধনে প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধন শেষে ক্লোজার বাজারে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন চরকাজল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলী আহমেদ আকন, চরবিশ্বাস ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. বাকের বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান, চরকাজল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন খান ও সাধারণ সম্পাদক মো. টিপু বিশ্বাস, গণ অধিকার পরিষদের চরবিশ্বাস ইউনিয়ন সদস্য সচিব মো. জুয়েল হাওলাদার, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের চরবিশ্বাস ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা মীর মোস্তফা কামাল এবং চরকাজল ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা মোঃ আজিজ জোমাদ্দার, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের চরবিশ্বাস ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা মো. ইমরান নাজির ও সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মো. আল আমিন, চরআগস্থি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. হুমায়ুন কবির, চরবিশ্বাস জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আতাউর রহমান দুলালসহ বিভিন্ন স্কুল–কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।এসময় বক্তারা অধ্যক্ষ আলীম উজজামানের অপসারণ এবং কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান এডহক কমিটির সভাপতি মো. গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। একইসাথে কলেজে অধ্যক্ষ আলীম উজজামানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন তারা।মানববন্ধনে চরবিশ্বাস ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বাকের বিশ্বাস বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অবৈধভাবে আলীম উজজামান কলেজে নিয়োগ পেয়েছেন।তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করছেন এবং বিভিন্ন অর্থ কেলেঙ্কারিতে জড়িত। এসব অনিয়মের প্রতিবাদ করায় প্রতিষ্ঠাতা গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছেন। আমরা তার অপসারণ ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই।চরকাজল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন খান বলেন,অধ্যক্ষ আলীম উজজামানের নৈতিক অবক্ষয় হয়েছে। তার মতো ব্যক্তি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দ্বায়িত্বে থাকতে পারেন না। তিনি সরে না যাওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।গণ অধিকার পরিষদের চরবিশ্বাস ইউনিয়ন সদস্য সচিব জুয়েল হাওলাদার বলেন, গোলাম মোস্তফা একজন মানবপ্রেমী শিল্পপতি, যিনি নিজ অর্থায়নে এই কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন। অথচ আজ তার বিরুদ্ধেই মিথ্যা মামলা করা হয়েছে যা অমানবিক।একাদশ শ্রেণির ছাত্রী জামিলা বলেন, সভাপতির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার প্রতিবাদে আজ আমরা রাস্তায় নেমেছি। এই মামলা প্রত্যাহার ও অধ্যক্ষের অপসারণ চাই।কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাক্ষ মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলীম উজজামান একজন মাদ্রাসা শিক্ষক। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী কোন মাদ্রাসা শিক্ষক কোন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হতে পারে না। কিন্তু তিনি বিভিন্ন জাল জালিয়াতি করে অবৈধভাবে নিয়োগ পেয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আমরা বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ জানিয়েছি। বিভিন্ন অনিয়মের কারণে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট।এই কারণে আজ শিক্ষক,শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক দল ও এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে।বর্তমানে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছি আমরা কিন্তু শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে অধ্যক্ষ আলীম উজজামানকে অপসারণ করতে হবে।এ বিষয়ে অধ্যক্ষ আলীম উজজামান বলেন, আদালতে একটি মামলা চলমান ও আদেশ রয়েছে।যে মামলার আদেশ বাস্তবায়নে আমি হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমি সভাপতির বিরুদ্ধে কোন মামলা করি নাই। গোলাম মোস্তফা মিয়া একজন ভালো মানুষ কিন্তু তাকে কেউ ব্যবহার করতেছে। আমি চলমান মামলায় হাইকোর্টের যে নির্দেশনা আসে তাই মেনে নিবো এবং আইনি প্রক্রিয়ায় বিষয়টির সমাধান করতে চাই। তিনি আরও বলেন, আমাকে কলেজে যেতে নিষেধ করেছে তাই আমি যাই না।জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ মজিবুর রহমান বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মানববন্ধন, অরাজকতা সৃষ্টি এমন পরিবেশ কাম্য নয়। আমরা চাই সুষ্ঠু স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসুক।কমিটির সভাপতি ও অধ্যক্ষের মধ্যে চলমান সমস্যা সমাধানে আমরা আলোচনা করবো।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: 𝐘𝐄𝐋𝐋𝐎𝐖 𝐇𝐎𝐒𝐓