পিরোজপুর প্রতিনিধি:
পিরোজপুরে কলেজ ছাত্র সৈয়দ রাসেল হত্যা মামলার সকল আসামীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার পরিবার।শুক্রবার (৩ মে) রাত ৮ টায় পিরোজপুর প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।নিহত রাসেলের মা জাহানার বেগম মানষিক ভাবে অসুস্থ থাকায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, নিহত রাসেলের ছোটবোন রেশমা বেগম।লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তারা ৩ বোন ও একমাত্র ভাই রাসেল।বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম বায়জীদ হোসেন তার ভাই কলেজ ছাত্র সৈয়দ রাসেলকে গত ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে ফোন দিয়ে পরিকল্পিত ভাবে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে তার লোকজন দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে।বেলা ১১টার দিকে রাসেল বায়েজিদের সাথে দেখা করে এবং বিভিন্ন কথাবার্তা বলে বের হয়ে নিজের মোটর সাইকেলে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলে, কদমতলা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বায়েজিদের লোকজন চাপাতি, জিআই পাইপ সহ বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে।পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় রাসেলকে উদ্ধার করে প্রথমে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়।পরে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১২টার দিকে রাসেল মারা যান।
তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, তারা যখন খুলনায় লাশের সুরাতহাল ও পোস্টমর্টেম নিয়ে ব্যস্ত তখন চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম বায়জীদ হোসেন তাদের বাড়িতে এসে তার মেয়েকে দিয়ে জোড় পুর্বক মুল আসামীদের নাম বাদ দিয়ে পিরোজপুর সদর থানায় একটি মামলা দেয়।সে মামলা সঠিক না হওয়ায় তারা পুনরায় থানায় মামলা দিতে গেলে থানা মামলা নিতে টালবাহনা করে।তখন নিহত রাসেলের মা জাহানারা বেগম বাদী হয়ে গত ২৯ এপ্রিল সোমবার উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম বায়েজীদ হোসেনকে ১ নং আসামী করে ১১ জন নামীয় এবং অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামী করে পিরোজপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।মামলার আরজিতে বাদী উল্লেখ করেনে, ১নং আসামী উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম বায়েজীদ এর নির্দেশে অন্যান্ন আসামীরা তার একমাত্র পুত্রকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।এ সময় তারা বলেন, প্রশাসনের নিস্ক্রিয়তা এবং বায়েজিদ ক্ষমতাধর হওয়ায় তারা এ হত্যাকান্ডের সঠিক বিচার না পাওয়ার আশংকা করে সাংবাদিকদের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে এ হত্যাকান্ডের সাথে যারা জড়িত সকলকে গ্রেপ্তার করে অবিলম্বে বিচারের দাবী জানাচ্ছেন।বায়েজিদের নামে হত্যা মামলা সহ প্রায় ডজনখানেক মামলা থাকলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।এ বিষয়ে পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসিকুজ্জামান বলেন, উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ মো. বায়েজীদ হোসেনের বিরুদ্ধে একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল, সেটির চার্জশিট হয়ে গেছে। কিন্তু চার্জশিটে তার নাম নেই।এছাড়া অন্যান্য মামলায় তিনি জামিনে আছেন।এ বিষয়ে শেখ মো. বায়েজীদ হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, রাসেলের বোন, বোন জামাই জহুরুল হক সহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।