অনলাইন ডেস্ক :
পিরোজপুরের কাউখালীতে মুনিয়া আক্তার (১৫) নামের এক স্কুল ছাত্রী গত ৮ জুন স্থানীয় বখাটে স্বাধীন মোল্লা ইমন অপহরণ করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।এরপর থেকে মেয়েকে ফিরে পেতে প্রশাসনসহ বিভিন্ন স্হানে খুঁজছেন ওই ছাত্রীর মা জোবেদা আক্তার জবা।ঘটনার দিনই কাউখালী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।কিন্তু অপহরণের ১৫ দিনেও কোনো সন্ধান মেলেনি মেয়েটির।রবিবার (২৩ জুন) রাতে কাউখালী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে নিখোঁজ মেয়েকে ফেরত পেতে গণমাধ্যমের সহযোগিতা চান জোবেদা আক্তার জবা।সংবাদ সম্মেলনে জোবেদা আক্তার অভিযোগ করেন, আইরন এম এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির পড়ুয়া ছাত্রী মুনিয়া আক্তারকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে উত্যক্ত করতো এলাকার মাসুদ রানা রমিজ মোল্লার বখাটে পুত্র স্বাধীন মোল্লা ইমন। বিষয়টি তিনি ইমনের পরিবার, ইউপি মেম্বার ও স্কুলের শিক্ষকদেরকে অবহিত করেন।তখন ইমনের পিতা নাবালিকা মেয়েকে তার ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেয়ার জন্য বলেন।এতে তিনি রাজি না হওয়ায় গত ৮ জুন তার মেয়ে মুনিয়া আক্তারকে ইমন তার বন্ধুদের সহযোগিতা অপহরণ করে নিয়ে যায়।মুনিয়া প্রতিদিনের মতো ঘটনার দিন স্কুল থেকে প্রাইভেট পড়ে সকাল ৯টার দিকে বাড়িতে ফিরে আসার কথা।নির্ধারিত সময়ে সে বাড়ি ফিরে না আসায় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।পরে জানা যায় একই এলাকার মাসুদ রানা রমিজ মোল্লার ছেলে স্বাধীন মোল্লা ইমন তার পিতা মাতার প্ররোচনায় স্হানীয় মোল্লা বাড়ি জামে মসজিদের পাশের রাস্তা থেকে জোরপূর্বক ইজিবাইকের করে মেয়েটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।এ কাজে তাকে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেন তার বন্ধু সিফাত হোসেনসহ ২/৩ জন যুবক।বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর ওইদিনই কাউখালী থানায় মুনিয়ার মা জোবেদা আক্তার জবা বাদী হয়ে একটি অভিযোগ করেন।ঘটনার পর ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার ও অপহরণকারী স্বাধীন মোল্লা ইমনসহ তার সহযোগীদের আটক করতে পারেনি।এ ঘটনায় চরম উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছে পরিবারটি।সংবাদ সম্মেলনে এসময়ে স্হানীয় ইউপি সদস্য মোঃ মাসুদ হোসেন, উপজেলা মহিলা শ্রমীকলীগের সভাপতি মাকসুদা বেগমসহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, মুনিয়া আক্তার নিখোঁজের মামলা এন্ট্রি করা হয়েছে।তাকে উদ্ধারে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশি অভিযান চালানো হচ্ছে।দ্রুত মেয়েটিকে উদ্ধারসহ জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।মামলার এজাহার ভুক্ত এক আসামিকে আটক করে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।এ ঘটনায় পুলিশের কোনো গড়িমসি নেই।