নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের নেছারাবাদে স্ত্রীকে ডাক্তার দেখাতে এসে প্রাইভেট ক্লিনিক থেকে ব্লাড প্রেশার মেশিন চুরি করার অভিযোগ উঠেছে মো. কামরুল ইসলাম নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তিনি উপজেলার পশ্চিম সোহাগদল শহিদ স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখার ট্রেড ইন্সটেক্টর পদে কর্মরত আছেন।ঘটনাটি গত রোববার (২২ ডিসেম্বর) উপজেলার সুটিয়াকাঠিতে অবস্থিত জাহানারা প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। যদিও বিষয়টি প্রকাশ্যে আসলে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে ওই শিক্ষক ব্লাড প্রেসার মাপা যন্ত্রটি ক্লিনিকের কমপক্ষের কাছে ফেরত দিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে।ওই ক্লিনিক সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষক কামরুল হাসান তার স্ত্রীকে নিয়ে ওই প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসককে দেখাতে আসেন। এক পর্যায়ে অপেক্ষমাণ কক্ষে কোনো লোক না থাকায় সেখান থেকে ব্লাড প্রেশার মেশনটি চুরি করে নিরাপদে সটকে পড়েন। পরে কতৃপক্ষ মেশিনটি না পেয়ে ক্লিনিকের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করে দেখতে পান মেশিনটি এক ব্যক্তি চুরি করে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রাথমিকভাবে চোরকে কেউ শনাক্ত করতে না পারায় চুরির ভিডিওটি ক্লিনিক কতৃপক্ষ অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে আপলোড দেন। এতে মেশিনটি শুক্রবার রাতে ফেরত দিয়ে যায় অভিযুক্ত শিক্ষক।এ বিষয়ে ক্লিনিকের ম্যানেজার মো. রুহুল আমীন আকন বলেন, ওই শিক্ষক গত ২২ ডিসেম্বর রাতে তার স্ত্রীকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে আসেন। পরে ডাক্তারের রুম থেকে বের হয়ে সবার অগোচরে ব্লাড প্রেশার মাপার যন্ত্রটি চুরি করে নিয়ে যান। ফেসবুকে আপলোড করা চুরির ভিডিও দেখে শুক্রবার কামরুল হাসান এসে ক্ষমা চেয়ে মেশনিটি ফেরত দিয়ে যান।চুরির বিষয়ে জানার জন্য ওই শিক্ষকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম হাবিবুর রহমান বলেন, একজন শিক্ষক হয়ে চুরি করা খুবই লজ্জাজনক। আমি চুরির বিষয়টি জানি না। তাকে ফোন দিয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি।