পিরোজপুর প্রতিনিধি:
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে পিরোজপুরে শহীদ পাঁচজন সহ দেশের সব শহীদের স্মরণে এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।শুক্রবার (১ আগস্ট) সকাল ১০ টায় শহীদ ওমর ফারুক মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শহীদ ও আহতদের পরিবারবর্গ, আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী যোদ্ধারা, রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার সচেতন নাগরিকবৃন্দ।জুলাই যোদ্ধা পিরোজেুরের সভাপতি কাজী মোঃ আবু হানিফের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব তাহমীদ আল নাসীব এর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন পিরোজপুরের জেলা প্রশাসন মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উপ-পরিচালক, স্থানীয় সরকার) মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, পিরোজপুরের সিভিল সার্জন ডা. মোঃ মতিউর রহমান, পিরোজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ, পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পিরোজপুর জেলা সেক্রেটারি মোঃ জহিরুল হক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পিরোজপুর জেলা সেক্রেটারি মোঃ মনুরুল হাসান, পিরোজপুর প্রেসক্লাব সভাপতি এসএম রেজাউল করিম শামিম। আলোচনা সভায় বক্তারা জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের স্মৃতি স্মরণ করেন এবং গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও অধিকারভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।তারা বলেন, “এই আন্দোলন ছিল গণমানুষের অধিকারের পক্ষে একটি ঐতিহাসিক জাগরণ। শহীদদের ত্যাগ আমাদের সামনে এগিয়ে চলার প্রেরণা।স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। আমরা সবাই যেন একত্রে মিলে স্বাধীন থেকে রক্ষা করতে হবে। সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। আন্দোলনের অংশগ্রহণকারীরা জুলাই আন্দোলনের সুনির্দিষ্ট স্বীকৃতি ও ‘জুলাই সনদ’ প্রণয়নের দাবি জানান। একইসাথে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে চলমান অপপ্রচার বন্ধের আহ্বান জানানো হয় এবং সহযোগিতা ও সংহতির পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানানো হয়।শহীদ পরিবারের সদস্যরা অশ্রু চোখে স্বজন হারানোর শোকে প্রকাশ করে। যারা এই হত্যাকাণ্ডের জড়িত তাদের বিচার দাবি করে।অনুষ্ঠানের শেষাংশে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও আহতদের সুস্থতা কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।