নড়াইলের লোহাগড়ায় রেল মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন নির্মাণাধীন রেললাইন ও মধুমতি নদীর তীর রক্ষা কাজ পরিদর্শন করেছেন।নির্বাচনের জন্য আলোচনা করতে চাই তাতে কোন বাধা নাই, তবে তারা নির্বাচন বানচালের জন্য আলোচনা করতে চান,সেটা গনতন্ত্র চর্চা হতে পারে না। শনিবার (১০ জুন)বিকেলে রেল মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন ভাঙ্গা যশোর অংশের মধুমতি নদীর তীর রক্ষা কাজ পরিদর্শন শেষে প্রকল্পের মধুমতি আর্মি সাইড ক্যাম্পে উপস্থিত গনমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, দক্ষিন পশ্চিম অঞ্চলের মানুষ যাতে রেল সেবা পেতে পারে সে দিকে লক্ষ্য রেখে পদ্মা সেতুর সাথে ২য় পর্যায়ে ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত ৮৭ কিলোমিটার রেলের আওতায় আনা হয়েছে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নিদের্শে এ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের অন্যতম কাজ মধুমতি নদীর উপর সেতু সহ মধুমতি নদীর তীর রক্ষার কাজ পরিদর্শনের জন্য আমি এসেছি। ২০২৪ সালের জুনে ভাঙ্গা থেকে বেনাপোল পর্যন্ত রেলপথ চালু হবে। ফলে এই রেল প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণরূপে শেষ হবে। এতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ সরাসরি রেলপথের সুফল পাবেন। ইতোমধ্যে ভাঙ্গা থেকে বেনাপোল পর্যন্ত রেলপথের ৭৩ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। কোনো প্রকার ক্রসিং ছাড়াই ঢাকা থেকে বেনাপোল পর্যন্ত রেল চলাচল করবে।
এছাড়া আগামি সেপ্টেম্বরে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত সরাসরি রেল চলাচল শুরু হবে। উদ্বোধন করবেন মাসনীয় প্রধানমন্ত্রী । প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার যে ১০টি উন্নয়ন প্রকল্প আছে, তার মধ্যে এই রেলপথ অন্যতম। এ সময় তিনি আরো বলেন, জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজন্ম লালিত যে স্বপ্ন ছিল মেহনতী মানুষের মুখে হাসি ফোঁটানো, সেই স্বপ্ন পূরনের লক্ষেই আমারা বহু ত্যাগের বিনিময়ে এদেশ স্বাধীন করেছি। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তার কন্যা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সকল নীতি আদর্শকে অনুসরন করেই সুখি সমৃদ্ধ সোনার গড়ার লক্ষে কাজ করে চলেছেন।এছাড়া প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মন্ত্রী।এসময় ভাঙ্গা যশোর রেলওয়ে প্রকল্পের ব্যবস্থাপক ব্রিগেডিয়ার জেনালের শামছুল আলম, জেলা প্রশাসক মোহাম্দ আশফাকুল হক চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।