নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার বড়দিয়া বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ সাইফুল ইসলামকে মারধরের প্রতিবাদে সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।রবিবার(১১ জুন)দুপুরে ঘন্টব্যাপি চলা এই মানববন্ধনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনের রাস্তায় সমাবেশ করে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া সহকর্মী ও শিক্ষার্থীরা জানায় গত ৭ জুন অনুষ্ঠিত ষান্মাসিক পরীক্ষায় নবম শ্রেণীর ছাত্রী শ্রেয়া অপ্সোরাকে সামনের বেঞ্চে বসা ছাত্রীর লেখা খাতা দেখে বারবার লিখতে দেখায়, কর্তব্যরত শিক্ষক সাইফুল ইসলাম তাকে অন্যত্র সরিয়ে বসালে সে তার বাড়িতে সংবাদ পাঠায়। পরে বাড়ি থেকে লোকজন এসে শিক্ষকে শিক্ষক মিলনায়তনের ভেতরে ঢুকে মারধর শুরু করে । নিজেকে রক্ষা জন্য প্রধান শিক্ষকের রুমে আত্ম¡গোপন করেও রক্ষা পাননি শিক্ষক মোঃ সাইফুল ইসলাম। বক্তারা বলেন, শিক্ষা দিতে এসে মার খেতে হচ্ছে, অনিরাপদ হয়ে পড়ছি, ন্যায় বিচার আর নিরাপত্তা চাই। প্রধান শিক্ষক এ বি এম কামরুজ্জামান বলেন, কার্য্যনিবাহী কমিটির নিকট বিচারের আশা করছি।গত ৭ জুন অনুষ্ঠিত ষান্মাসিক পরীক্ষার নবম শ্রেণির ছাত্রী শ্রেয়াকে সামনের বেঞ্চে বসা ছাত্রীর লেখা খাতা দেখে বারবার লিখতে দেখায় কর্তব্যরত শিক্ষক সাইফুল ইসলাম শ্রেয়াকে অন্যত্র সরিয়ে বসালে তার বাড়িতে সংবাদ পাঠায়। পরে বাড়ি থেকে লোকজন এসে শিক্ষক সাইফুলকে শিক্ষক মিলনায়তনে বেড়ক মারধর করে। সাইফুল নিজেকে নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য প্রধান শিক্ষকের রুমে আত্ম¡গোপন করেও রক্ষা পাননি শিক্ষক সাইফুল ইসলাম। বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে থানায়। উপজেলা, জেলা শিক্ষা অফিসেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এ ঘটনায় সাথে জড়িত আয়েন উদ্দীন শেখ বলেন, শিক্ষক সাইফুল ইসলাম আমার নাতিকে দিনের পর দিন মানসিক ভাবে হয়রানি করে আসছেন। এই ঘটনার প্রতিবাদ করেছি মাত্র তবে শিক্ষককের শরিরে হাত দেয়া হয়নি। তিনি আমাদেরকে হয়রানি করার চেষ্টা করছেন।
লোহাগড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ ভূঁইয়া বলেন, শিক্ষককে মারপিটের ঘটনা শোনার পর আমি খোঁজ খবর নিয়েছি। ভুক্তভোগী শিক্ষককে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে।এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.নাসির উদ্দিন বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষক লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।