বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার চালিতাবুনিয়া গ্রামে স্ত্রীর পরকিয়ায় বাঁধা দেওয়ায় স্ত্রী শাহিদা পারভীন (৩৫) স্বামী আহসান হাওলাদারের পুরুষাঙ্গ টেনে হিচড়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে। জানাগেছে, ২০০৫ সালে উপজেলার চালিতাবুনিয়া গ্রামের আহসান হাওলাদারের সাথে গুলিশাখালীর মোতালেব হাওলাদারের কন্যা শাহিদা পারভীনের বিয়ে হয়। তিন সন্তানের জননী শাহিদা গত পাঁচ বছর পূর্বে একই গ্রামের অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য হারুন অর রশিদ ঘরামীর পরকিয়ার জড়িয়ে পড়ে। প্রেমিক হারুনের নির্দেশে শাহিদা তার স্বামীকে প্রায়ই নির্যাতন করে আসছে এমন অভিযোগ আহসান হাওলাারের। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে শাহিদা তার প্রেমিক হারুনের সাথে দেখা করতে যাচ্ছিল। এতে স্বামী আহসান বাঁধা দিলে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। রাত দুইটার দিকে ঘুমন্ত স্বামীকে যাতা (ছরতা) দিয়ে মাথায় আঘাত এবং পুরুষাঙ্গ টেনে হিচড়ে রক্তাক্ত জখম করে। আহত আহসানের ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে স্ত্রী শাহিদা পারভীন পালিয়ে যায়। এরপর পুলিশকে খবর দিলে তারা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেন। শুক্রবার দুপুরে তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পরপর স্ত্রী শাহিদা বেগম পলাতক রয়েছে। অভিযুক্ত মায়ের বিচার চাইলো মেয়ে। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার চালিতাবুনিয়া গ্রামে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে। আহসানের ষষ্ঠ শ্রেণী পড়ুয়া কন্যা বলেন, আমার মা খারাপ কাজ করে, এতে বাবাকে বেশ কয়েকবার মারধর করেছে। মায়ের এমন জঘন্য ঘটনা মেনে নেয়া যায়না। আমি আমার মায়ের বিচার দাবী করছি। অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য হারুন অর রশিদ ঘরামী পরকিয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, মারধরের ঘটনা শুনেছি। তিনি আরো বলেন, আমার সাথে ওই নারীর মোবাইলে কথা হয় এছারা আর কিছু নয়। আমতলী উপজেলা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জায়েদ আলম ইরাম বলেন, রোগীর অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। তার পুরুষাঙ্গের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।