ময়মনসিংহের ফুলপুরে হারানো জিডি তদন্ত করতে গিয়ে বেরিয়ে এলো মেয়েকে ধর্ষণের চাঞ্চল্যকর তথ্য। নিজের মেয়েকে (১৩) জোর পূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে পিতা আশ্রব আলী(৪৮)কে শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) শ্রীঘরে পাঠিয়েছে পুলিশ। ফুলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলার বনগাঁও গ্রামের জনৈক মোঃ আশ্রব আলী(৪৮) ৭ সেপ্টেম্বর রাতে থানায় এসে সাধারন ডায়েরি করেন যে তার স্ত্রী ১২ বছর পূর্বে তাকে রেখে অন্য একজনকে বিয়ে করে চলে যায়। বর্তমানে সে ০১ ছেলে রুমান(১৪),ও ০১ মেয়ে(১৩)কে নিয়ে একই ঘরে বসবাস করছিল। গত ০৬ সেপ্টেম্বর সন্ধা সাড়ে ৬ ঘটিকায় তার মেয়ে (১৩) সকলের অজান্তে বাড়ি হতে কোথায় যেন চলে যায়। পরবর্তীতে বাড়িতে ফিরে না আসায় আশপাশের বাড়িসহ তাহার নিকটতম আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করে কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। সাধারন ডায়েরির আবেদন পেয়ে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য এসআই তরিকুল ইসলাম ও এএসআই আবুল বাসেদকে দায়িত্ব দেয়া হয়। পরে এসআই তরিকুল ইসলাম ও এএসআই আবুল বাসেদ প্রাথমিক তদন্ত করার জন্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রকাশ্য ও গোপনীয় তদন্ত করে এলাকায় বিশ্বস্ত সোর্স মোতায়েন করেন। প্রাথমিক তদন্ত শেষে থানায় আসার কিছুক্ষণ পরে রাতে ভিকটিম নিজেই এএসআই আবুল বাসেদ এর মোবাইলে ফোন করে জানান যে, ভিকটিমের পিতা মোঃ আশ্রব আলী একই ঘরে বসবাস করার সুবাদে ভিকটিমকে প্রতি রাতে হাত-পা বেঁধে, মুখ চেপে জোরপূর্বক ধর্ষন করতো। উক্ত ঘটনা কারও নিকট প্রকাশ করলে, দা দিয়ে জবাই করে মেরে ফেলার হুমকি দিত। ভিকটিম সহ্য করতে না পেরে পালিয়ে তার মায়ের নিকট ঢাকা চলে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিম ও তার মাকে থানায় এনে অভিযোগ গ্রহন করে পাষন্ড পিতা আশ্রব আলীর বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয় এবং পিতা আশ্রব আলীকে গ্রেপ্তার করে শনিবার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।