পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা পরিষদের সামনের ‘সুবর্না জুয়েলার্সের’-এর মালিল উজ্জ্বল মৃধা সবুজ গ্রাহকদের স্বর্ণালংকার,কয়েক ব্যক্তির কাছ থেকে নগদ টাকা ধার নিয়ে ও এনজিও থেকে ঋনের টাকা নিয়ে উধাও হয়েছেন।গ্রাহকদের দাবি,সবুজের কাছে স্বর্ণালংকারসহ নগদ টাকা মিলিয়ে প্রায় ত্রিশ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে তাদের।রবিবার(১৭ সেপ্টেম্বর)বিকেলে দোকান তালাবদ্ধ দেখে সবুজের মোবাইলে ফোন করলে বন্ধ পান গ্রাহকরা।এরপর তার বাড়িতে ও বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ-খবর নিয়ে তারা জানতে পারেন, সকালেই সবুজ সবকিছু নিয়ে পালিয়ে গেছেন।এ সংবাদ চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে ভুক্তভোগীরা সুবর্না জুয়েলার্সের সামনে জড়ো হয়ে স্বর্ণালংকার ও টাকা ফেরত পেতে উপজেলা প্রশাসন,থানা পুলিশ,জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার গন্যমান্যদের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।স্থানীয়রা জানান,উপজেলার চিরাপাড়া পারসাতুরিয়া ইউনিয়নের কেশরতা গ্রামের রবিন্দ্র নাথ মৃধার ছেলে উজ্জ্বল মৃধা সবুজ ১২ বছর ধরে উপজেলা পরিষদের সামনে স্বর্ণের ব্যবসা করছেন।দীর্ঘদিন ব্যবসা করায় স্থানীয় মানুষের সঙ্গে সবুজের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে।এ বিশ্বাসে স্থানীয় নারী-পুরুষ সবুজের কাছে স্বর্ণা স্বর্ণালঙ্কার তৈরি করা শুরু করেন।আর্থিক সমস্যার কারণে তার কাছে স্বর্ণ বন্ধকও রাখেন অনেকে।তার ব্যবসার প্রসারের জন্য কিছু এনজিও এবং স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে ঋণও নেয় সবুজ। কিছু দিন যাবৎ গ্রাহকদের বানাতে দেওয়া ও বন্ধক রাখা স্বর্ণ দেওয়ার কথা থাকলেও দেই দিচ্ছি বলে তাদেরকে ঘোরাতে থাকে সে। ভুক্তভোগী মৃনাল কর, গোবিন্দ,সুমন,সৈকত,রাসেলসহ বেশ কয়েকজন গ্রাহক বলেন,সবুজ ব্যবসার জন্য আমাদের কাছ থেকে নগদ টাকা ধার নেয়। কিছু স্বর্ণ তার কাছে বন্ধকও রেখেছি।আমরা যখন তার কাছ থেকে স্বর্ণ ও টাকা আনতে যেতাম, ২/১ দিন অপেক্ষা করতে বলে আমাদেরকে ঘোরাতেন।সবুজ সবকিছু নিয়ে গোপনে পালিয়ে গেছে। তার মোবাইলে একাধিকবার ফোন করে বন্ধ পেয়েছি।কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)জাকারিয়া বলেন,বিষয়টি তার বাবার কাছে শুনেছি।ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হব।