পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার ৫ নং বেতকা গোয়ালতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ আবু হানিফকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে একই স্কুলের চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্রীর ভাইদের বিরুদ্ধ।ভুক্তভোগী শিক্ষক এবিষয়ে থানায় একটি লিখত অভিযোগ দিয়েছেন।বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে ৩য় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরিক্ষা শেষে এ ঘটনা ঘটে।ভুক্তভোগী শিক্ষক মোঃ আবু হানিফের অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, বৃহস্পতিবার সকালে বেতকা গেয়ালতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় প্রান্তিক মূল্যায় পরীক্ষা চলাকালীন চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী সাইমুন জাহান ফারিয়া হলে দায়িত্বে থাকা শিক্ষক মোঃ আবু হানিফ এর কাছে ইংরেজি বিষয়ের একটি প্রশ্নের উত্তর জানতে চান।তিনি এর কোন উত্তর না বলে তাকে লেখার জন্য বলেন।এর পরেও ওই ছাত্রী তাকে একাধিকবার বিরক্ত করলে তিনি শেষে তাকে ধমক দিয়ে চুপচাপ পরিক্ষা দেয়ার জন্য বলেন।পরে পরিক্ষা শেষে ওই ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি বাড়িয়ে তার পরিবারকে বলে।শিক্ষক আবু হানিফ পরিক্ষা শেষে স্কুল সংলগ্ন বাজারের মসজিদে নামাজ পড়ে বের হলে ওই ছাত্রীর ভাই মোঃ সজীব খান (২০), চাচাতো ভাই মোঃ মহাসিন মন্টু (২৫) ও মোঃ ইয়াছিন খান (১৯) তাকে বাজারের একটি চায়ের দোকানে নিয়ে কিল-ঘুষি ও চর থাপ্পড় মারতে থাকেন। এসময় স্হানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করেন। তখন ওই বখাটেরা শিক্ষককে পারে দেখে নেয়ার হুমকি দেন।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহানারা খাতুন বলেন, এখানে শিক্ষকের দোষ ছিল না।দুপুরে পরিক্ষা শেষে ওই ছাত্রীর ভাইয়েরা এসে তার বোনের কথা মতন স্কুলের সামনের বাজারের চায়ের দোকানে শিক্ষককে ধরে নিয়ে মারধর করে।ওই ছাত্রীর সঙ্গে শিক্ষকের যদি কোনো ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে তাঁরা কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাতে পারতেন।শিক্ষকের গায়ে হাত দেওয়া মেনে নেওয়া যায় না।এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা।ওই ছাত্রীর ভাই মোঃ সজীব খান বলেন, ওই শিক্ষক ইংরেজি পরীক্ষার দিন তার বোনকে পরীক্ষার হলে বসে বকাঝকা ও চড়থাপ্পড় মারেন। এসব ঘটনায় পরীক্ষার পর বাড়িতে গিয়ে কেঁদে ফেলে ফারিয়া। পরে আবেগের বশে বিদ্যালয়ের কাছের বাজারে বসে এবিষয় নিয়ে শিক্ষকের সাথে ধাক্কা ধাক্কি হয়েছে।কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জাকারিয়া বলেন, শিক্ষককে মারধরের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।