1. multicare.net@gmail.com : আমাদের পিরোজপুর ২৪ :
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০৭:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মুন্সীগঞ্জ টঙ্গীবাড়ীতে সন্তানের স্বীকৃতির দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে অসহায় স্ত্রী-সন্তান ফুলপুরে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে  আন্তর্জাতিক মে দিবস পালিত ইন্দুরকানীতে আড়াই কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার কাউখালীতে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে জেলে গ্রেফতার কালীগঙ্গা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, ব্যবসায়ীকে লাখ টাকা জরিমানা কাউখালীতে শব্দদূষণ বিরোধী অভিযানে জরিমানা আদায় মুন্সীগঞ্জে টঙ্গীবাড়ীতে কবর খুঁড়ে ১৪টি কঙ্কাল চুরি জুয়ায় আসক্ত ছেলের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করলেন বাবা, ছেলে গ্রেফতার  নাজিরপুর এলজিইডিতে দুদকের অভিযান পিরোজপুরে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

ফুলপুরে হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

  • প্রকাশিত: শনিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে

ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলা আজ হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।৯ ডিসেম্বর, ফুলপুর হানাদার মুক্ত দিবস।১৯৭১ সালের এই দিনে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত হয়েছিল ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলা।মহান মুক্তিযুদ্ধে ফুলপুর ছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আল-শামসদের লুটপাট অগ্নিসংযোগ, নৃশংস হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনায় ক্ষত-বিক্ষত।১৯৭১ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা সর্বাত্মক আক্রমণ চালিয়ে এ উপজেলায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করে। যুদ্ধের মহাসংকট থেকে মুক্ত হয় উপজেলাবাসী।জানা যায়, ১৯৭১ সালের ৬ থেকে ৮ ডিসেম্বর বাখাই মধ্যনগর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধারা প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।সম্মুখযুদ্ধে তারাকান্দার স্বল্পা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকে সাথে নিয়ে নিরীহ মানুষকে বাঁচান। এক পর্যায়ে তিনি এ যুদ্ধে শহীদ হন।এতে ১০ জন মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় একজন মেজরসহ ১৫ জন নিহত হয়।মুক্তিযুদ্ধকালিন সময়ে ফুলপুর হানাদার মুক্ত হওয়ার আগের দিন পর্যন্ত সরচাপুর বধ্যভূমির টর্চার সেলে নিত্যদিন সন্ধ্যায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরপরাধ অসংখ্য মানুষকে লাইনে দাঁড় করিয়ে বেয়নেট চার্জ করে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যার পর লাশ কংস নদীতে ভাসিয়ে দিত। এছাড়া সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাট উপজেলা থেকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পিছু হটার পথে মধ্যনগরে মিত্রবাহিনীর সাথে প্রচণ্ড সম্মুখযুদ্ধে ৩ জন মুক্তিযোদ্ধা ও ২ জন মিত্রবাহিনীর সদস্য শহীদ হন।এ সময় কয়েকজন গ্রামবাসিও প্রাণ হারান।এলাকাবাসি ৩ জন মুক্তিযোদ্ধা ও ২ জন মিত্রবাহিনীর লাশ একই কবরে শায়িত করে।পরে মিত্রবাহিনীর শহীদ ২ সদস্যের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে দাহ করা হয়।এই বাখাই মধ্যনগরের যুদ্ধেই পতন ঘটে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর এবং ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পালিয়ে যায়।পরে ৯ ডিসেম্বর ভোরের সোনালী সূর্য উদয়ের সাথে সাথে মুক্তিযোদ্ধারা ফুলপুরকে মুক্ত দিবস ঘোষণা করে এই দিনে ফুলপুর থানায় বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন।এর ন্যায় প্রতিবছর ৯ ডিসেম্বর ফুলপুরকে মুক্ত দিবস হিসেবে পালন করা হয়।ফুলপুর মুক্ত দিবস হোক মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমৃদ্ধ ভবিষ্যত প্রজন্মের প্রেরণার উৎস। এটাই এখানকার মুক্তিকামী জনগণের প্রত্যাশা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: 𝐘𝐄𝐋𝐋𝐎𝐖 𝐇𝐎𝐒𝐓