দৈনিক প্রথম আলো থেকে সংগৃহীত : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর ভোটে লড়া আটকে গেল।সাদিক আবদুল্লাহর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে তাঁকে প্রতীক বরাদ্দ দিতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আসনটির আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহিদ ফারুকের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।বরিশাল-৫ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন সাবেক সিটি করপোরেশনের মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ।কিন্তু তাঁকে দল মনোনয়ন দেয়নি।আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান বর্তমান সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে আসনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন সাদিক আবদুল্লাহ।তাঁর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।তবে যুক্তরাষ্ট্রে দ্বৈত নাগরিকত্ব ও হলফনামায় সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ এনে সাদিক আবদুল্লাহর মনোনয়ন বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করেন জাহিদ ফারুক।অন্যদিকে জাহিদ ফারুকের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে সাদিক আবদুল্লাহও ইসিতে আপিল করেন।শুনানি শেষে ১৫ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন জাহিদ ফারুকের আপিল মঞ্জুর করে।আর সাদিক আবদুল্লাহর আপিল নামঞ্জুর করেন। ফলে সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিল হয়। নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিজের প্রার্থিতা ফিরে পেতে এবং জাহিদ ফারুকের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে সাদিক আবদুল্লাহ হাইকোর্টে পৃথক দুটি রিট করেন।রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোর্ট রুল দিয়ে সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিল করে ইসির দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন।একই সঙ্গে সাদিক আবদুল্লাহর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে তাঁকে প্রতীক বরাদ্দ দিতে নির্দেশ দেন।ফলে তাঁর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথ খোলে। তবে জাহিদ ফারুকের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে সাদিক আবদুল্লাহর করা অপর রিটটি সরাসরি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেওয়া-সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন জাহিদ ফারুক।এর ওপর আজ আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে শুনানি হয়। আজ আদালতে জাহিদ ফারুকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম। সাদিক আবদুল্লাহর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।পরে জাহিদ ফারুকের আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত হওয়ায় সাদিক আবদুল্লাহ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।