গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি :
বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলায় বোমা বিস্ফোরণে পুলিশসহ তিন জন আহত হয়েছে।মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) সকাল ৯:৩০মিনিটে সময় সরকারি জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে জানান মো. মাসুম সরদার নামের এক ব্যক্তি যে তাদের বস ঘরের পাশের সেমিপাকা টয়লের ভিতরের কে বা কাহারা গৌরনদী পৌর এলাকার বড় কসবা ২নং ওয়ার্ডে তাদের ব্যবহারিত বাতরুমে বোমা রেখে গেছে।এ খবর পেয়ে গৌরনদী থানার এসআই মো. কামাল হোসেন সংগীয় ফোর্স নিয়ে বোমা উদ্ধার অভিজানে যান।স্থানীয় বাসিন্দা মো. আলমগীর ফকির জানান যে, মৃত: রাজু হাওলাদারের পুত্র ৪০ বছর বয়সী বড় কসবা গ্রামের বাসিন্দা মো. মাসুম হাওলাদরের বাড়ির সেমিপাকা বাথরুমে বোমা পাওয়া গেছে।এ খরব এলাকায় জানা জানি হলে আমার বাড়ির পাশে হওয়াতে আমিও দেখতে যাই।পরে ঘটনা স্থল থেকে পুলিশ ১০/১২ টি বোমা উদ্ধার করে।তখন মো. মাসুম হাওলাদার কে দিয়ে প্লাস্টিকের বাজারের ব্যাগের মধ্যে থেকে গৌরনদী থানার এসআই মো. কামাল হোসেন ওই বোমা বালতির মধ্যে রাখতে বলার সময় বোমা বিস্ফোরিত হয়।ঘটনা স্থলেই পুলিশের এসআই মো. কামাল হোসেন, পুলিশ ভ্যানের ড্রাইভার কনেস্টবল মো. মিজান ও বাড়ির মালিক মো. মাসুম হাওলাদার গুরতর আহত হয়।গৌরনদী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার বিপুল হোসেন জানান আমরা সকাল সাড়ে ১০ টায় খবর পেয়ে বোমা বিস্ফোরণে আহতদের উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিন জনকে ভর্তি করেছি।এবিষয় গৌরনদী মডেল থানার ওসি তদন্ত মো. মাজারুল ইসলাম বলেছেন সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মো. মাসুম হাওলাদার নামের এক ব্যাক্তি ফোন করে জানান যে, তাদের বাড়ির বাথরুমে কেউ বোমা রেখে গেছে।পরে আমি মোবাইল টিম পাটিয়েছি বোমা উদ্ধার করার জন্য।কিন্তু একটু অসাবধানতার কারে আমাদের দুইজন পুলিশ সদস্য এসআই মো. কামাল হোসেন পুলিশ ভ্যানের ড্রাইভার কনেস্টবল মো. মিজান ও বাড়ির মালিক মো. মোসুম হাওলাদারসহ তারা তিনজন গুরুতর আহত হয়েছে। পরে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।এঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবু আব্দুল্লাহ খান, গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. ফরহাদ হোসেন মুন্সী।