নাসিম উদ্দীন কুৃষ্টিয়া রিপোটারঃ
বাঙালীর ১০০% খাঁটি বাঙালীপনার মধ্যে অন্যতম হলো গুরুপাক বা গুরু মসলা মিশ্রিত গাঢ় ঝোঁলের জিভে জল এসে যাওয়া সুস্বাদু খাবার প্রস্তুত করা।দেশের বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরায় কিংবা ঘরোয়া গ্রামীণ পরিবেশে রান্না,বিয়ে শাদী,পার্টি প্যালেস,উৎসবে আয়োজনে এমন নানামুখী বাহারী মসলার সমন্বয়ে বাহারী সব খাবারের পসরা সাঁজিয়ে রাখতে দেখা যায়।বর্তমান সময়ে বিজ্ঞানের বহুল প্রচার এবং প্রসারের মাধ্যমে আমরা মসলাযুক্ত খাবারের অপকারিতা জানা স্বত্বে ও মুখের স্বাদ এবং সুঘ্রাণের জন্য খাবারে উগ্র মসলার ব্যবহার করে থাকি। তাছাড়া মসলা ছাড়া বাঙালী রাঁধুনিদের এক ওয়াক্তও চলে না।ফলে ভারতীয় উপমহাদেশে মসলার ব্যাপক চাহিদা প্রতীয়মান।আমাদের দেশেও বিভিন্ন নামের বিভিন্ন ধরনের মসলার ব্যবহার ও প্রচলন রয়েছে।তবে তা দিনে দিনে মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে।সুযোগ বুঝে এক শ্রেণীর অসাধু মসলা ব্যবসায়ী বা মসলা সিন্ডিকেট মসলার বাজারটাকে করেছে অসম/ আকাশচুম্বি।তবে এ বিষয়ে বানিজ্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর কতৃক কার্যকর কোন ব্যবস্হা গ্রহণে লক্ষণীয় কোন উদ্দোগ কখনই চোখে পড়েনি।আর মানুষও বলতে বলতে বিরক্ত হয়ে গেছে।ফলে বলা বাদ দিয়ে দিয়েছে।সারা বিশ্বে বিরামহীনভাবে মানুষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।সুতরাং মসলার বাজার সহনীয় মাত্রায় নেমে আসবার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।ততদিনে মসলা সিন্ডিকেট তাদের রামরাজত্ব চালিয়েই যাবে।