নাসিম উদ্দীন কুৃষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ
একটি ট্রেন ভেড়ামারা জংশন থেকে ভেড়ামারা-রায়টা সেকশনে চলাচল করতো।এই রুটের দৈর্ঘ্য ছিলো ৯ কি মি।ভেড়ামারার পর স্টেশন ছিলো তিনটি- দামুকদিয়া, দামুকদিয়া ঘাট ও রায়টা।পদ্মানদীর উপর পাকশী-ভেড়ামারা সংযুক্তকারী হার্ডডিঞ্জব্রিজ চালু হওয়ার আগে পদ্মা পারাপারের জন্য এই রুটটি ব্যবহৃত হতো।পদ্মার এক পাড়ে ছিলো সাড়াঘাট ও অন্যপারে দামুকদিয়া ঘাট। সাড়াঘাট পর্যন্ত ট্রেন আসতো।তারপর রেলওয়ের ফেরি ও স্টিমার যোগে নদী পেরিয়ে দামুকদিয়া ঘাট স্টেশনে এসে রায়টা/রায়টা ট্রেনে করে ভেড়ামরা এসে কলকাতা ও গোয়ালন্দের দিকে যেতো মানুষ।১৯১৫ সালে হার্ডিঞ্জব্রিজ চালু হওয়ার পর রায়টা ট্রেন ঈশ্বরদি জংশন পর্যন্ত আসতো।ট্রেনটি সম্ভবত ১৯৮৪ সালে বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ভেড়ামারা-রায়টা সেকশনটা পরিত্যাক্ত হয়ে যায়।তদারকির অভাবে রেললাইনের ক্লিপ,স্লিপার চু’রি হতে থাকে।অবশেষে ১৯৯০ সালের ১৫ জুলাই সেকশনটি দাপ্তরিক ভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়।তবে দামুকদিয়া ঘাট ও সাড়া ঘাট /চারা ঘাট এর রেল ফেরি ও স্টিমার কবে নাগাদ চালু হয়েছিলো তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।ভেড়ামারা থেকে পাকশী’র দিকে যেতে আপ লাইনের পাশে যে পাকা রাস্তাটি আছে সেখানে আগে ভেড়ামারা – দামুকদিয়ে সেকশনের লাইন ছিলো।