পিরোজপুর প্রতিনিধি :
পিরোজপুরে হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়েগেছে পিরোজপুরের সাত উপজেলার কয়েকশ বাড়ি ঘর।এ ঝড়ে গাছচাপায় এক নারী ও ঝড়ে উড়ে গিয়ে খালে পড়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।এ সময় কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন।নিহতরা হলেন- জেলার সদর উপজেলার শারিকতলা ইউনিয়নের মরিচাল গ্রামের ব্যবসায়ী মেরাজ হোসেনের স্ত্রী রুবী বেগম (২২) ও একই ইউনিয়নের উত্তর রানীপুর গ্রামের কানাই লাল পালের ছেলে অনিল পাল (৮০)।জানা গেছে, রোববার ( ৭ এপ্রিল) সকালে পৌন ১০ টার দিকে হঠাৎ আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে চারিদিকে অন্ধকার হয়ে পড়ে।পরে দমকা বাতাস ও ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়।প্রায় ১৫ মিনিটের এ ঝড়ে পিরোজপুর পৌরসভা ও সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় শত শত গাছ উপরে পড়ে কয়েকশত ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে প্রায় সব সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা।ঘূর্ণিঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ।তবে সন্ধ্যার দিকে উপজেলার শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়েছে।এ সময় পৌর এলাকার নিকটবর্তী শারিকতলা ইউনিয়নের মরিচাল গ্রামে একটি ঘরে গাছচাপা পড়ে রুবী বেগম নামের ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়।এ সময় ওই গৃহবধূর মেহেজাবিন নামের ছয় বছরের একটি কন্যা শিশুও গুরুতর আহত হয়েছে।পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা পাঠানো হয়েছে।এছাড়া ঝড়ের সময় অনিল পাল নিজ বাড়িতে ফেরার পথে তাকে দমকা বাতাসে উড়িয়ে নিয়ে ওই এলাকার নলবুনিয়া খালে ফেলে দেয়।পরে খালে ভাসতে থাকা অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার রমজান আলী জানান, ঘুর্ণিঝড়ে আহত রুবি নামের এক গৃহবধূ ও তার মেয়েকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। আর তার মেয়েকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।এ ঝড়ে এখন পর্যন্ত আহত ১২ থেকে ১৩ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।পিরোজপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানান, হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ে গাছপালা উপড়ে পড়ে পিরোজপুরের সদর উপজেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।পিরোজপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আশিকুজ্জামান বলেন, ঝড়ে গাছচাপায় একজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। অন্য জনকে পানিতে পাওয়া গেছে বলে শুনেছি।