জান্নাতীন নাঈম জীবন, পবিপ্রবি প্রতিনিধি:
সাধারণ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যস্ততায় বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করলেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) দুই ছাত্রলীগ নেতা। তাঁরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ২০১৭-১৮ সেশনের মো: মাজহারুল ইসলাম ও একই অনুষদের ২০১৮-১৯ সেশনের মো: জাহাঙ্গীর আলম।শুক্রবার (২৩ আগষ্ট) মধ্যরাত থেকে চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ভোর রাত ৩টা ৩০ মিনিটে তাঁরা একসাথে বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করেন।বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে তাদের অবস্থান জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।এ সময় মো: মাজহারুল ইসলাম ও মো: জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা বিগত দিনে শিক্ষার্থী নির্যাতন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ লুট, ডাইনিংয়ে অসদাচরণ সহ বিভিন্ন অভিযোগ করতে থাকে। এমনকি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তারা এ আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেন।পাশাপাশি এ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কয়েকজন শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র ব্যাচসমূহ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল প্রশাসন ও প্রক্টরিয়াল বডির সহযোগিতায় মো: মাজহারুল ইসলাম ও মো: জাহাঙ্গীর আলমকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের সামনে এসে উভয়ই তাদের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চান।
এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ছাত্রলীগ নেতা মো: মাজহারুল ইসলাম বলেন, এ আন্দোলনে আমার আপনাদের সাথে থাকা উচিত ছিলো, আমি এতোদিন যা করেছি সব ভুল করেছি। আমাকে সবাই ক্ষমা করে দেন। ভবিষ্যতে আর কোন রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকবো না।ছাত্রলীগ নেতা মো: জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আমি বুঝতে পারি নাই, আমি অতীতের কার্মকান্ডের জন্য ক্ষমা চাচ্ছি।আমাকে সকলে ক্ষমা করে দিবেন।ভবিষ্যতে আর কেন রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে আমি যুক্ত থাকবো না।পরবর্তীতে মো: মাজহারুল ইসলাম ও মো: জাহাঙ্গীর আলম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি, হল প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনীর সহযোগীতায় রাত ৩ টায় ক্যাম্পাস ত্যাগ করে। প্রসঙ্গত, মো: মাজহারুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মো: জাহাঙ্গীর আলম বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হল-১ এর সভাপতি পদপ্রার্থী ছিলেন।