
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতে পালানোর সময় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না (৬০) মারা গেছেন।পান্না পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার বেকুটিয়া গ্রামের হাজী নেছাব আলী খানের পুত্র।শনিবার (২৪ আগস্ট) মেঘালয়ের শিলং পাহাড়ে ওঠার সময় পা পিছলে পড়ে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে। তবে পান্নার মৃত্যু কীভাবে ঘটেছে- তা নিয়ে ভিন্ন তথ্যও মিলেছে। কেউ কেউ বলছেন, বিএসএফ এর গুলিতে তিনি মারা যান। যে কারণে তার মৃত্যুর ঘটনাটি নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিতে পান্নাকে মৃত অবস্থায় দেখা গেছে।

এসময় তার পরনে কালো রঙের টি-শাট ও প্যান্ট। বাঁ পায়ের গোড়ালির দিকে রক্ত দেখা যাচ্ছে।পান্নার ভাগনে কাউখালীর চিড়াপাড় সাতুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লায়েকুজ্জমান তালুকদার মিন্টু বলেন, বিভিন্ন মাধ্যম সূত্রে মামার মৃত্যুর খবর শুনেছি।এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারছি না।তবে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) মধ্যরাতে দেশ ছেড়ে ভারতের উদ্দেশ্যে তিনি সিলেটের পথে গেছেন সেটা নিশ্চিত।গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন ইসহাক আলী খান পান্না।সেদিনই তার পিরোজপুর শহরের পাড়েরহাট সড়কের বাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন দেয় দুর্বৃত্তররা।উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ইসহাক আলী খান পান্না।এর পর তিনি ২০১২ সালের সম্মেলনের পর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক এবং পরে বিভিন্ন উপকমিটির সদস্য হয়েছিলেন তিনি।মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন।এর আগে ২০০৮ সালের নির্বাচনে পিরোজপুর-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান পান্না।অবশ্য পরে ১৪ দলীয় জোটগত নির্বাচনের কারণে সরে যেতে হয় তাকে।পেশাগত জীবনে বীমা কোম্পানি ডায়মন্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারমান ছিলেন সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা।