নাসিম উদ্দীন স্টাফ রিপোর্টার:
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় যৌথ বাহিনী সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ১টি অত্যাধুনিক রিভালবার, ২ রাউন্ড তাজা গুলি, ১টি হাত কুড়াল, ১টি বল্লম সহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে। মঙ্গলবার ভোর রাতে উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক মনিরুজ্জামান রুবেল’র বামনপাড়াস্থ বাসভবনের পরিত্যাক্ত একটি ঘর থেকে এই অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনাটি উদ্দ্যেশ প্রনোদিত এবং প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে ব্রিফিং দিয়েছেন, ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক সাবেক চেয়ারম্যান জানবার হোসেন। তিনি দাবী করেন, প্রতিপক্ষ গ্রুপই রাতের অন্ধকারে ওই অস্ত্র পরিত্যাক্ত ঘরে রেখে, প্রশাসন কে সংবাদ দিয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কুষ্টিয়া ইউনিট এবং ভেড়ামারা থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, ভেড়ামারা উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক মনিরুজ্জামান রুবেল’র বামনপাড়াস্থ বাসভবনে অভিযান চালায়। এসময় বাড়ির পরিত্যাক্ত একটি ঘর থেকে ১টি অত্যাধুনিক রিভালবার, ২ রাউন্ড তাজা গুলি, ১টি হাত কুড়াল, ১টি বল্লম সহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় প্রতিবেশী বুলু খাতুন নামের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, পরিত্যাক্ত একটি ঘরের খড়কুটার ভিতর থেকে ওই অস্ত্র গুলি উদ্ধার করা হয়।এ দিকে এ ঘটনাটি বিএনপি দলীয় প্রতিপক্ষ’র সাজানো ঘটনা দাবী করে স্থানীয় ফরিদ হোসেন জানিয়েছেন, যুবদল নেতা মনিরুজ্জামান রুবেল একজন ব্যবসায়ী। তার মুদি খানার দোকান রয়েছে। সে কোন সহিংস রাজনীতির সাথে জড়িত নয়। চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক জানবার হোসেন জানিয়েছেন, আমি সহ আমার পরিবার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার। আমি ১৩ বছর এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলাম। ৩০ বছর ধরে আমার পরিবার চেয়ারম্যান এবং এলাকার নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। কিন্তু আজ উপজেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষায়ক সম্পাদক সুরুজ এবং কৃষি বিষায়ক সম্পাদক বাবলু’র ষড়যন্তের স্বীকার হয়ে হামলা, মামলার স্বীকার হয়েছি। আবার তারাই আমার ভাতিজা মনিরুজ্জামান রুবেল কে ফাঁসাতে রাতের অন্ধকারে জানালা দিয়ে পরিত্যাক্ত একটি রুমে দেশীয় অস্ত্র ফেলে রেখে যায়। তারাই যৌথবাহিনী দিয়ে অভিযান পরিচালনা করে আমাদের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করছে। এ দিকে অভিযুক্ত মোজাম্মেল হক সুরুজ নিজেকে বিএনপি নেতা দাবী করে বলেন, অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা যৌথ বাহিনীর নিয়মিত অভিযান।এ অভিযানের সাথে আমাদের কোন সম্পৃক্ততার প্রশ্নই উঠে না। প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক হিসাবে প্রতিপক্ষরা আমাকে জড়িয়ে মিথ্যাচার করছে। এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ শহীদুল ইসলাম জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীর সাথে ভেড়ামারা থানা পুলিশও অভিযানে অংশ নেয়। অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র সহ দেশীয় অস্ত্র পরিত্যাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।