মোঃ কামরুল ইসলাম খান ফুলপুর প্রতিনিধি :
ময়মনসিংহের ফুলপুরে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই ৬ জনসহ মোট ৮ জন নিহত হয়েছে।শুক্রবার (২০ জুন) রাত সোয়া ৮টার দিকে ফুলপুর পৌরসভার ঢাকা-হালুয়াঘাট আঞ্চলিক মহাসড়কে বাশবাড়ি এলাকায় মনোয়ার হোসেনের বাসার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঢাকাগামী শ্যামলী বাংলা পরিবহনের একটি গাড়ি (ঢাকা মেট্রো ব- ১৩-১০৫৯) হালুয়াঘাটগামী যাত্রীবাহী একটি মাহিন্দ্রকে ধাক্কা দেয়। এতে মাহিন্দ্রের চালকসহ ৬ জন ঘটনাস্থলেই মারা যান।আর ২ জন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা গেছেন বলে জানা গেছে।হাসপাতালসূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছিল। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। ওই ৫ জনের ২ জন মারা গেছেন। ঘটনাস্থলে নিহতরা হলেন- ফুলপুরের গোদারিয়া গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে ফরিদ (৩৮), নিশুনিয়াকান্দা গ্রামের মৃত মইজ উদ্দিনের পুত্র তিন চিল্লার সাথী জহের আলী (৭০), হালুয়াঘাটের বালিজুড়ি গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের স্ত্রী হাসিনা খাতুন (৫০), কয়রাহাটি গ্রামের মৃত জবান আলীর ছেলে শামসুদ্দিন (৬৫), জয়রামকুড়া গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে রুবেল (৩০) ও লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার নিজগুড্ডিমারি গ্রামের আবদুল মালেক শাহের পুত্র কাজিম উদ্দিন (২৮)।আর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যে ৫ জনকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে এদের মধ্যে ২ জন অজ্ঞাত। আর বাকি ৩ জন হলেন- লাল মিয়া (৪০), মারজিয়া (৩০) ও আলিম উদ্দিন (২৬)। এই ৫ জনের মধ্যে ২ জন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নেভায়। দুর্ঘটনার খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে হাজারো জনতা ঘটনাস্থলে গিয়ে ভীড় জমায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন- পুলিশ ও সেনাবাহিনী। আর উদ্ধার কাজে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিয়োজিত ছিলেন। ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া ইসলাম সীমা,সহকারী পুলিশ সুপার (ফুলপুর সার্কেল) মো. মাকসুদুর রহমান, ফুলপুর থানার ওসি মো. আব্দুল হাদি, আর্মি অফিসার ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।নিহতদের ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে রাখা হয়েছে। নিহতের স্বজনরা এসে তাদের লাশ সনাক্ত করছেন। এ রিপোর্ট লেখার সময় জহের আলীর স্বজন ও ফরিদের স্বজনরা কান্নায় মুচড়ে যাচ্ছিল। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে এবং যান চলাচল করছে।