গ্রীন তালুকদার :
সংস্কৃত হলো একটি সমাজের জীবনধারা, যার মধ্যে রয়েছে ঐতিহ্য,জ্ঞান,রীতি,বিশ্বাস,শিল্পকলা, নৈতিকতা মূল্যবোধ প্রথা ও কৃষ্টি। যা মানুষকে মনুষ্যত্ব বিকাশে সহায়তা করে এবং সমাজে প্রচলিত আচার-আচরণ, জীবনযাত্রার পদ্ধতি প্রকাশ করে। সংস্কৃতি বিশ্লেষণ করলে,মানুষ ও সমাজের চিন্তাভাবনার উৎকর্ষতা বৃদ্ধি পায়। রীতিনীতি,প্রথা-আইন শৃঙ্খলা জীবনযাপনের উপর কে প্রভাবিত করে। যেমন – * জ্ঞান ও বিশ্বাস জীবনকে সুপথে চলতে সাহায্য করে।* শিল্প সংগীত, নৃত্য,সাহিত্য, চিত্রকলা,ভাস্কর্য ইত্যাদি মানুষকে সংস্কৃতি লব্ধ জ্ঞান বৃদ্ধি করে। * সমাজের পারস্পরিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করে যেমন – নৈতিক মূল্যবোধ,সামাজিক ও জাতীয় মূল্যবোধকে জাগ্রত করে।* পুরাতন ঐতিহ্যকে লালন করে নতুনত্ব সৃজন করে সমাজে শিল্পকলা তৈরি করে।* দৈনন্দিন জীবন যাত্রা মানুষের আচার-আচরণ রীতি-নীতির প্রচলন করে। * মানুষের মাঝে হৃদ্রতা,ঐক্য ও সংহতি তৈরি করে।সংস্কৃতি মূলত ছয়টি বৈশিষ্ট্য বহন করে থাকে। যেমন- ১. শেখা, ২. ভাগ করা, ৩. প্রতিকী, ৪. সমন্বিত, ৫. অভিযোজিত এবং ৬. গতিশীল।গণমানুষের সংস্কৃতির সাথে সংগীত,নৃত্য,চিত্রকলা, পোশাক পরিচ্ছদ, উৎসব ইত্যাদি ও জড়িত থাকে। শত শত বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্যই হলো সমাজের সংস্কৃতি। একটি সমাজের সাম্প্রতিক ও পৌরাণিক ঐতিহ্যই হলো মূল সংস্কৃতি। এ সমস্ত কারণে সংস্কৃতি স্বকীয় মহিমায় সমুজ্জ্বল। এখানের লোকশিল্প,কারুশিল্প,চিত্রশিল্প ও তৈজষপত্রের ব্যবহার পৌরাণিক ঐতিহ্য বহন করে। বাঙালি সংস্কৃতি বলতে বাঙালির কৃষ্টি কালচার নিয়ে আর রেনেসাঁ অষ্টাদশ শতাব্দীর শুরুর দিকে প্রচলন করেন।পরে বিভিন্ন লেখক, সাধু,মহাপুরুষ, বিজ্ঞানী,গবেষক, চিন্তাবিদ, সংগীতজ্ঞ, চিত্রশিল্পী,চলচ্চিত্র নির্মাতা, বাঙালি সংস্কৃতি বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। পরবর্তী বাঙালিয়ানা সংস্কৃতিতে ইসলাম ধর্ম,হিন্দু ধর্ম,বৌদ্ধ ধর্ম ও খ্রিষ্টান ধর্মের প্রভাব রয়েছে। এখানে ভাষা সাহিত্য,দর্শন শাস্ত্র, লোকসাহিত্য,পল্লী সাহিত্য,দর্শন ধর্মীয় উৎসব উদযাপন করে আসছে এসব ঐতিহ্যই হলো সংস্কৃতি। (লেখকের নিজস্ব অভিমত)