নিজস্ব প্রতিবেদক :
মুন্সীগঞ্জে গজারিয়া উপজেলা গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের চর শিমুলিয়া গ্রামে শিপইয়ার্ড সংলগ্ন নদীতে থেমে থাকা ট্রলার থেকে দেশীয় অস্ত্র ও পুরাতন ফার্নিচার উদ্ধার করেছে পুলিশ গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের চর শিমুলিয়া গ্রামে অবস্থিত শিপইয়ার্ড সংলগ্ন নদী থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়।গজারিয়া থানা সূত্রে জানা যায়, বাড়ি-ঘরে লুটপাট ও নয়ন-পিয়াসের পরিবারের সদস্যদের উপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলার আসামীদের আটকে অভিযান চালাচ্ছিল পুলিশ। এ সময় স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ চর শিমুলিয়া গ্রামে যায়। পরে শিপইয়ার্ড সংলগ্ন নদীতে থেমে থাকা দুটি লাইটার জাহাজের মাঝখানে একটি ট্রলার দেখতে পায় তারা। ট্রলারে পুরাতন কিছু ফার্নিচার থাকায় বিষয়টি তাদের সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে ট্রলার তল্লাশি করে ২টি ছোট দা, ১টি বগি দা, ২টি পুরাতন শোকেশ, ১টি প্লাস্টিকের আলমারি, ১টি স্টিলের ছোট আলমারি পাওয়া যায়। তবে এ সময় ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া যায়নি। মালামালগুলো নয়ন-পিয়াস গ্রুপের কারো হতে পারে বলে ধারণা পুলিশের।এদিকে মালামালগুলো তাদের দাবি করে পিংকি আক্তার নামে একজন বলেন, ‘ এই মালামালগুলো মূলত নৌ দুর্ঘটনায় নিহত পিয়াসের বড় ভাই ওয়াদুদ বেপারীর। গত কয়েকদিন ধরে জিতু বাহিনীর লোকজন এলাকায় মহড়া দিচ্ছে। তাদের ভয়ে আমি আমার নিজের ঘরের মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছি। সোমবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় জিতু বাহিনীর লোকজন নিহত ওয়াদুদ ব্যাপারীর ঘরের মালামাল লুট করে সেগুলো অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছিল।কোন কারণে সেগুলো সরাতে না পেরে মালামালগুলো শিপইয়ার্ডের ভেতর লুকিয়ে রেখেছিল তারা।মালামাল গুলোর সাথে থাকা দেশীয় অস্ত্র প্রমাণ করে সন্ত্রাসীরা আশেপাশেই ছিল কিন্তু পুলিশ তাদের আটক করতে পারেনি। এ বিষয়ে অপরপক্ষ জিয়াউল হক জিতু রাঢ়ির বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো.আনোয়ার আলম বলেন, পুরাতন ফার্নিচার এবং দেশীয় অস্ত্রগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এগুলো কাদের তা আমরা খতিয়ে দেখছি।গুয়াগাছিয়া থেকে সাম্প্রতি নানা বিভ্রান্তিকর খবর পাচ্ছি আমরা। প্রতিটি বিষয় অত্যন্ত সতর্কতার সাথে আমাদের দেখতে হচ্ছে।