রাজাপুর প্রতিনিধিঃ
রাজাপুরে মঠবাড়ী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রুবেল হাওলাদার ও যুবদল নেতা রফিকুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে বিএনপিপন্থী এক ব্যবসায়ির কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা নেওয়া অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়,মঙ্গলবার রাত ১২ টার দিকে ব্যবসায়ী ওসমান উপজেলার বাঘড়ী বাজার থেকে ইজিবাইকে করে ব্যবসায়িক মালামাল নিয়ে ফেরার পথে বাঘড়ী ইউশা প্রেট্রোল পাম্পের কাছে পৌঁছালে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা রুবেল ও তার সহযোগী যুবদল নেতা রফিকুল পথরোধ করে এবং নানারকম ভয়ভীতি দেখিয়ে মালামাল গাড়ি থেকে নামিয়ে নেয়।এ সময় তারা প্রথমে দেড়লাখ এবং পরে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।ওসমান তার প্রতিবেশীর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ধার নিয়ে রুবেল ও রফিককে দিলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় তবে তার এক কার্টুন স্টেশনারি মালামাল রেখে দেয় তারা।
এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি হলে উপজেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ বুধবার রাত আটটা দিকে বাঘড়ী এলাকায় বসে সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর মালামাল স্বেচ্ছাসেবক নেতার মাধ্যমে ফেরত দেওয়া হয়। তবে বিশ হাজার টাকার বিষয়ে উপস্থিত গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ জানতে বলে অভিযুক্ত যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা বলেন টাকা পোলাপান এর মাঝে ৫০০-১০০০ করে ভাগাভাগি হয়ে গেছে।ইতিমধ্যে ব্যবসায়ী ওসমান ও অভিযুক্তদের মুঠোফোনে চাঁদাবাজি কথোপকথন এর একটি রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে।চাদাবাজি ও নির্যাতনের শিকার ওসমান রাজাপুর উপজেলার ঘিঘড়া গ্রামের আশ্রাফ আলী হাওলাদার এর ছেলে।এ ব্যাপারে মঠবাড়ী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হেমায়েত উদ্দীন মেম্বার বলেন, তারা ওইদিক বসে কি করে আমি কিছুই জানি না।তবে যদি চাঁদাবাজির অভিযোগ প্রমানিত হয় তবে দল তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে।অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুবেল হাওলাদার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।রাজাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ইসমাঈল হেসেন জানান এ ব্যাপারে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।